বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ৭ নভেম্বর ইতিহাসে তাৎপর্যপূর্ণ, বাকশাল দিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল। সেই বাকশাল চালু থাকলে আজও দেশে এত গণমাধ্যম থাকতো না। ৭ নভেম্বর ও ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আর বিভক্ত হয়ে গেলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হওয়ার পথ খুঁজে পাবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আল ফালাহ মিলনায়তনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। জামায়াতের আমির বলেন, ৫ আগস্টের আন্দোলনকে পূর্ণতা দিতে হবে। রাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের কথা ও কাজে মিল থাকতে হবে। সকলে মিলে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে হবে। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে যার যার যোগ্যতা অনুযায়ী মূল্যায়ন করতে হবে।
দুর্নীতি সব অপকর্মের মূল তাই দুর্নীতিকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, দেশের একজন প্রধানমন্ত্রী যদি চোর হয় তবে তার অনুসারীরাও চোর হবে। দেশ গঠনের প্রথম কাজ হিসেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। আমরা তারুণ্য নির্ভর নয়, তারুণ্য সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চাই। জামায়াত এমন একটি দেশ গড়তে চায় যেখানে লেখাপড়া শেষে কেউ বেকার থাকবে না।
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এই দেশে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আওয়ামী লীগ জামায়াতকে অন্যায়ভাবে দুইবার নিষিদ্ধ করেছে। পিলখানায় জঘন্য হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, তবে আওয়ামী লীগ সেই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার করেনি। এ সময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবার মত প্রকাশের বিষয়ে শ্রদ্ধাশীল উল্লেখ করে জামায়াত কথায় কথায় কাউকে নিষিদ্ধের কথা বলে না বলেও মন্তব্য করেন ডা. শফিকুর রহমান।