মৌলভীবাজার ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
Logo শ্রীমঙ্গলে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভা Logo এটা ভারতের কোন প্রদেশ নয়, যে সেবাদাসী হতে চেয়েছিলেন সেই দাসী এখন আপনাদের পদতলে Logo শ্রীমঙ্গল বিএনপি’র বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার Logo শ্রীমঙ্গলে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ কারাগার থেকে রিমান্ডে Logo শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ: ফেসবুকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে উত্তেজনা Logo শ্রীমঙ্গলে উত্তেজনা শান্ত, বড় ধাঙ্গা থেকে রক্ষা পেল শহর; প্র্রশাসন ও মুফতি শিব্বিরের সাহেবের নেতৃত্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে Logo রাজনগর উপজেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনের বিরোধের নিরসন করলেন ফয়জুল করিম ময়ূন Logo সাবেক কৃষিমন্ত্রীকে আদালতে জনতার ধিক্কার Logo শ্রীমঙ্গলে দু’দিনব্যাপী তথ্য মেলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে আবেদন ৮২৬, মাঠেই তথ্য পেলেন ৪৮১ জন

রাজনগর উপজেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনের বিরোধের নিরসন করলেন ফয়জুল করিম ময়ূন

দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসা রাজনগর উপজেলা বিএনপির দ্বিধাবিভক্তির নিরসন করলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন।

জানা গেছে, এ উপজেলায় জেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আব্বাস আলী মাস্টার। এ কমিটি চলমান থাকলেও দলের একটি বৃহৎ অংশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। এ অংশের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম সুন্দর বক্স। কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, দুটি অংশের নেতাদের মধ্যে কেউ কারও সাথে কথাবার্তা বলতেন না। এমনকি মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত ছিল না। ফলে দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজনগর উপজেলা বিএনপি।

এমন অবস্থা চলে আসায় সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নতুন কমিটির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন তাঁর বাসভবনে বিবদমান দুটি পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তিনি উভয় পক্ষের বক্তব্য দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাংগঠনিক দিকনির্দেশনার ওপর শ্রদ্ধাশীল থেকে তা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠকে দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, “আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন। আমি এ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা কৃষকদল, মহিলাদলের কোন্দল নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ করেছি। এরই মধ্যে রাজনগর উপজেলা সহ জেলার অন্যান্য উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের দিয়ে সাংগঠনিক টিম গঠন করে দিয়েছি। কর্মী সভা আহ্বানের জন্য সভার তারিখ ও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দকে অতীতের দুঃখ-বেদনা, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নব উদ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, “অতীতে যারা দলের জন্য জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন, দলের জন্য জেলে গেছেন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন—তাদের মাধ্যমেই দলের প্রতিটি স্তরের কমিটি গঠন করা হবে। ত্যাগী ও দুর্দিনের রাজপথের নেতৃবৃন্দদেরই কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। এতে কোনো স্বজনপ্রীতির আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “অতীত অতীতই। অতীতকে টানাটানি না করে সকল ভেদাভেদ ভুলে তারেক রহমানের ডাকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দলকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানাই।”

এ আহ্বানে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দ খুশি হন এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল কাদির মিয়া, সাবেক মেম্বার মোস্তফা মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম সুন্দর বক্স, এনামুল হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মুত্তাকিন মুক্তা, জগলু তালুকদার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জিতু মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী মাস্টার, নুরুল ইসলাম সেলুন এবং সাবেক চেয়ারম্যান কবির মিয়া।

শ্রীমঙ্গলে নবাগত ইউএনও’র মতবিনিময় ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিসভা

x

রাজনগর উপজেলা বিএনপির দীর্ঘ দিনের বিরোধের নিরসন করলেন ফয়জুল করিম ময়ূন

আপডেট সময় ০৬:১৩:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪

দীর্ঘদিন যাবৎ চলে আসা রাজনগর উপজেলা বিএনপির দ্বিধাবিভক্তির নিরসন করলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন।

জানা গেছে, এ উপজেলায় জেলা কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মো. জিতু মিয়া এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মো. আব্বাস আলী মাস্টার। এ কমিটি চলমান থাকলেও দলের একটি বৃহৎ অংশকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। এ অংশের নেতৃত্বে ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম সুন্দর বক্স। কোন্দল এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, দুটি অংশের নেতাদের মধ্যে কেউ কারও সাথে কথাবার্তা বলতেন না। এমনকি মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত ছিল না। ফলে দলীয় কোন্দলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে রাজনগর উপজেলা বিএনপি।

এমন অবস্থা চলে আসায় সর্বশেষ ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির নতুন কমিটির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন তাঁর বাসভবনে বিবদমান দুটি পক্ষকে নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকে বসেন। বৈঠকে তিনি উভয় পক্ষের বক্তব্য দীর্ঘ সময় ধরে ধৈর্য সহকারে শোনেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাংগঠনিক দিকনির্দেশনার ওপর শ্রদ্ধাশীল থেকে তা যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।

বৈঠকে দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, “আপনারা ইতিমধ্যে জেনেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছেন। আমি এ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে জেলা কৃষকদল, মহিলাদলের কোন্দল নিরসন করে ঐক্যবদ্ধ করেছি। এরই মধ্যে রাজনগর উপজেলা সহ জেলার অন্যান্য উপজেলা ও পৌর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের দিয়ে সাংগঠনিক টিম গঠন করে দিয়েছি। কর্মী সভা আহ্বানের জন্য সভার তারিখ ও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি দলীয় নেতৃবৃন্দকে অতীতের দুঃখ-বেদনা, ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে নব উদ্যমে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, “অতীতে যারা দলের জন্য জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন, দলের জন্য জেলে গেছেন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন—তাদের মাধ্যমেই দলের প্রতিটি স্তরের কমিটি গঠন করা হবে। ত্যাগী ও দুর্দিনের রাজপথের নেতৃবৃন্দদেরই কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে। এতে কোনো স্বজনপ্রীতির আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “অতীত অতীতই। অতীতকে টানাটানি না করে সকল ভেদাভেদ ভুলে তারেক রহমানের ডাকে সাংগঠনিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে দলকে তৃণমূল থেকে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানাই।”

এ আহ্বানে উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দ খুশি হন এবং সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, বিএনপির বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল কাদির মিয়া, সাবেক মেম্বার মোস্তফা মিয়া, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশরাফুজ্জামান খান নাহাজ, রাজনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হেকিম সুন্দর বক্স, এনামুল হোসেন চৌধুরী, আব্দুল মুত্তাকিন মুক্তা, জগলু তালুকদার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জিতু মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী মাস্টার, নুরুল ইসলাম সেলুন এবং সাবেক চেয়ারম্যান কবির মিয়া।