বাংলাদেশ সরকার অর্থ আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করেছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (BFIU), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (CID) এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দল এই কাজ পরিচালনা করছে।
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ব্যাংকিং খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে তা বিদেশে পাচার করেছে। এই অর্থের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণের কাজ চলছে এবং ধারণা করা হচ্ছে, এটি লক্ষাধিক কোটি টাকার ওপরে।
বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, এবং ইউনিয়ন ব্যাংকের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও সংস্কার কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে।
সরকার অচিরেই একটি ব্যাংকিং কমিশন গঠন করবে, যা প্রতিটি ব্যাংকের অর্থনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ করে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ তৈরি করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম শক্তিশালী ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা।
এই প্রক্রিয়ায় দেশি-বিদেশি সম্পদ অধিগ্রহণ এবং বিদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফেরানোর কার্যক্রম জোরদার করা হবে। যদিও এই প্রক্রিয়াটি সময় সাপেক্ষ, তবুও সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানের করতে বদ্ধপরিকর।