বাংলাদেশের আলোচিত নারী উদ্যোক্তা ও ইনফ্লুয়েন্সার রোবাইয়াত ফাতিমা তনির স্বামী শাহাদাৎ হোসাইন ব্যাংককের একটি হাসপাতালে মারা গেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সে আর নাই। ব্যাংকক সময় রাত ৩:০৩ মিনিটে আমাকে সারাজীবনের জন্য একা করে চলে গেছে।”
দীর্ঘদিন ধরে শাহাদাৎ হোসাইন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর জীবন রক্ষায় তনি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তনি লিখেছিলেন, “জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছি। আমি কোনোভাবেই তাকে হারাতে চাই না। সবকিছু অনিশ্চিত জেনেও আল্লাহর বিশেষ কোনো রহমতের আশায় অনেক কষ্ট করে আজকে সিঙ্গাপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশে আনিয়ে তারপর ব্যাংকক নিয়ে আসছি। আমার জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করছি, বাকি আল্লাহর ইচ্ছা।”
এসময় তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়ে লিখেছিলেন, “সবাই দোয়া করবেন, আমার ছেলের জন্য হলেও আল্লাহ যেন তাকে বাঁচিয়ে রাখে।”
শাহাদাৎ হোসাইন একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন। রোবাইয়াত ফাতিমা তনির জন্য তিনি শুধুমাত্র একজন জীবনসঙ্গীই নন, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার উৎস ছিলেন। তনির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উন্নতিতে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
তনির ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত সফলতা
তনির জীবনে শাহাদাৎ হোসাইন দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এবং পরে ভালোবেসে বিয়ে করেন শাহাদাৎকে। এই দম্পতি তাঁদের বয়সের ব্যবধান নিয়ে সবসময় সমালোচনার শিকার হয়েছেন। ফেসবুক লাইভে এলে তনিকে নানারকম ট্রলের মুখে পড়তে হতো। তবে এসব বিষয়ে তিনি কখনোই তোয়াক্কা করেননি।
বর্তমানে তনি ফ্যাশন হাউস ‘সানভিস বাই তনি’-এর স্বত্বাধিকারী। সারাদেশে তাঁর ১২টি শোরুম রয়েছে। নিজের ঘরে শান্তি খুঁজে পাওয়াই তাঁর জীবনের মূলমন্ত্র বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে অভিমত দিয়েছেন।
শোকের ছায়া
শাহাদাৎ হোসাইনের মৃত্যুতে তনির জীবনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তনি জানান, জীবনসঙ্গীর এভাবে চলে যাওয়া তাঁর জন্য এক অসহনীয় ক্ষতি।
তাঁর ভক্ত, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং ব্যবসায়িক সহকর্মীরা তনির প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। সবাই তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া করেছেন, যেন তিনি এই কঠিন সময় অতিক্রম করতে পারেন।