টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে আকস্মিক বন্যায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কমলগঞ্জ, বড়লেখা ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অসংখ্য বসতঘর, আঞ্চলিক মহাসড়ক, গ্রামীণ সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তলিয়ে গেছে। সড়কে পানি উঠে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে জেলা সদরের সঙ্গে। বন্যার পানি প্রবেশ করে তিন শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাজনগর উপজেলার কদমহাটা এলাকায় মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তীব্র স্রোতে পানি ঢুকছে। পানিতে তলিয়ে গেছে মসজিদ, মাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কদমহাটা এলাকা। যার ফলে জেলা সদরের সাথে চারটি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলা শহরজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জেলা প্রশাসক ঊর্মি বিনতে সালামসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধতন কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো পরিদর্শন করেছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষে মাইকে প্রচারণা চালানো হয়, যাতে সকলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করেন।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাবেদ ইকবাল জানান, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার শহরের কাছে মনু নদীর পানি চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৯ সেন্টিমিটার ও উজানে রেলওয়ে ব্রিজে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধলাই নদীর পানি বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার, কুশিয়ারার শেরপুরে ১১ সেন্টিমিটার, জুড়ি নদীদে বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।