শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মহসীন মিয়া মধু, যিনি একাধিক মেয়াদে পৌরসভার দায়িত্ব পালন করেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দেশের পৌরসভার মেয়র পদ বিলুপ্ত হওয়ার পর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন। তবে, দায়িত্ব ছাড়লেও মানুষের সেবায় তাঁর অভ্যন্তরীণ নিষ্ঠা অটুট রয়েছে। মৌলভীবাজারের বন্যাক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মহসীন মিয়া মধু সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকেই মহসীন মিয়া মধু উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য মিটিং করে আসছেন। পাশাপাশি, তিনি দায়িত্বরত স্থানীয় প্রশাসনের সাথে উপজেলায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তিনি গ্রামবাসীর আস্থা অর্জন করেছেন এবং এলাকার উন্নয়নে তাঁর অবদান স্পষ্ট।
মহসীন মিয়া মধুর এই মানবিক ও উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর ছেলে মুরাদ হোসেন সুমনও সহায়তা করছেন। পিতার পাশাপাশি তিনি প্রতিটি উদ্যোগে নিজেকে সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রেখেছেন, যা তাঁকে এলাকার উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম করেছে।
মহসীন মিয়া মধু এখন পর্যন্ত শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে জরুরি খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেছেন এবং তাঁর এই প্রচেষ্টা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগ কখনোই পূর্বাভাস দিয়ে আসে না। এই বন্যার জন্য কেউ প্রস্তুত ছিল না। অনেকেই দ্রুত ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন। যদিও আমার এখন মেয়র পদ নেই, তবুও আমার সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাঁড়ানো আমার কর্তব্য। আমরা প্রায় দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে তিন দিনে তিন হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী প্রস্তুত করেছি। আমার পাঁচটি দল শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের দূরবর্তী এলাকায় গিয়ে এ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে। যতদিন প্রয়োজন, আমরা এই সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখব।”
শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী এই উদ্যোগের প্রসংশা করে বলেন, “মহসীন মিয়া মধুর এই মানবিক কার্যক্রমে আমরা শতাধিক নেতাকর্মী সহায়তা করছি। আমরা ঘরে ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।”
মহসীন মিয়া মধুর ছেলে মুরাদ হোসেন সুমন জানান, তাঁর পিতা প্রতিদিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাতে ফেরেন। তিনি নৌকা, মোটরসাইকেল, জীপ বা পায়ে হেঁটে দুর্গত এলাকাগুলোতে পৌঁছে বানবাসী মানুষের হাতে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, “আমার পিতা প্রায় ১০ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করে আমাদের ‘হেলদি চয়েজ’ গোদামে প্যাকেটিং করাচ্ছেন। যতদিন প্রয়োজন, আমরা এই সহায়তা প্রদান চালিয়ে যাব।”