মৌলভীবাজার ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
Logo চাঁদাবাজি প্রতিবাদের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা Logo বাংলাদেশ-চীনের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে : ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক আসিফ আকবর Logo চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২০০ Logo শ্রীমঙ্গলে সার ডিলারশীপে অনিয়ম: একই পরিবারের একাধিক ডিলার, কৃষক জিম্মি সিন্ডিকেটে Logo শ্রীমঙ্গলের পূজামণ্ডপে আনসার ও ভিডিপি’র উপমহাপরিচালকের পরিদর্শন Logo দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত Logo আনান প্যাক বিডি লিমিটেডে শ্রমিকদের মানববন্ধন, ১১ দফা দাবি ও ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম Logo সুনামগঞ্জে প্রাইভেট কার-বাইক সংঘর্ষে নিহত দুইজন Logo শ্রীমঙ্গলে পুলিশের অভিযানে ৪৬ বোতল বিদেশী মদসহ যুবক গ্রেফতার

শ্রীমঙ্গলে চুরি যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ: অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন

(সংবাদ সম্মেলনের লিখিত কপি হুবহু তুলে ধরা হলো)

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী লাইলি বেগম (৩৮) পিতা: মৃত রাজা মিয়া, সাং- শংকর সেনা, আশিদ্রোণ ইউপি, থানা: শ্রীমঙ্গল, জেলা: মৌলভীবাজার। আমি একজন অসহায় নারী। নিরুপায় হয়ে আপনাদের নিকট আরজি পেশ করছি, নিম্ন তফসিল বর্ণিত সিএনজি অটোরিকশাটি গত ২৮ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখে সিলেট রোড, মৌলভীবাজার জুগিডর এলাকার মক্কা-মদিনা শোরুম থেকে ৬ লক্ষ টাকা ধার সাব্যস্ত করে কিস্তিতে ক্রয় করি। দুর্ভাগ্যক্রমে ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে শ্রীমঙ্গল থেকে রাত সাড়ে তিনটায় আমার সিএনজিটি চুরি হয়ে যায়। আমি প্রথমে উপজেলার উদনাপার এলাকার আব্রুজ মিয়ার ছেলে ও সিএনজি উপজেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন তুর্কিকে (৫০) জানাই। তখন তিনি আমাকে জানান, একটি চোর চক্র আছে, তারা সিএনজি চুরি করে।

তিনি আমার সিএনজিটি তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করে দিতে পারবেন। এভাবে অনেক চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি তিনি উদ্ধার করে দিয়েছেন অন্য মালিকদের। তিনি শর্ত দেন আমার সিএনজির ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ না করার জন্য। তার কথা মতো আমি পুলিশের নিকট কোনো অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকি। এ সময় সালাউদ্দিন তুর্কির সাথে আরও যোগ দেন সুরমা ভেলী এলাকার রজব আলীর ছেলে ও আব্দুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আব্দুল্লাহ (৫২) এবং হবিগঞ্জ রোড সিএনজি ২৩৫৯ গ্রুপ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ কাইয়ুম মিয়া। এ সময় তারা চোর চক্রের সাথে দেখা করতে হবিগঞ্জ যেতে হবে বলে আমার নিকট থেকে গাড়ি ভাড়া ও তাদের চা নাস্তা খাওয়াতে পাঁচ হাজার টাকা নেন।

পরের দিন তারা আমাকে জানান আমার সিএনজিটি পাওয়া গেছে তবে চোর চক্র নাকি ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। যদি আমি তাদের ওই টাকা দেই তবে তারা আমার সিএনজিটি ফেরত দেবে বলে জানায়। তাদের কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এত টাকা আমি কোথায় পাব এই চিন্তায়। তারপর অনেক চিন্তা করে আমি বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ধার দেনা করে ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে উল্লেখিত বিবাদীদের নিকট নগদ ২,৭০,০০০ (দুই লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা পরিশোধ করি এই শর্তে যে, আমার সিএনজিটি চোরের নিকট থেকে এনে পরের দিন দিবে। এ সময় সালাউদ্দিন তুর্কি আমার নিকট থেকে গাড়ির সকল মালিকানার কাগজপত্র চেয়ে নেন। আমি সরল বিশ্বাসে তাকে সকল ডকুমেন্ট দিয়ে দেই। কিন্তু পরদিন তারা আমার সিএনজি না এনে আব্দুল্লাহ পুলিশের কথা বলে আমার নিকট আরও ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা নেয়। পরদিন তারা আমার সিএনজি এনে দিতে না পেরে বলে কালকে চলে আসবে। এভাবে তারা নানা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে।

আমি বুঝতে পারি তারা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। বিষয়টি আমার চাক্ষুষ সাক্ষী সুরমা ভেলী এলাকার মহসিন মিয়া, শংকর সেনা এলাকার জয়নাল মিয়া ইউপি সদস্য, ফটকির জুবেদ মিয়া, মুজিব মিয়া, রিপন মিয়া, লাল বাগের আকবর মিয়াসহ শালিস বৈঠকে যুক্ত হন উপজেলার প্রবীণ মুরুব্বী জনাব ইউছুব আলী, জনাব আছকির মিয়া সহ প্রমুখ। শালিস বৈঠকে আমার পক্ষে রায় হলেও তারা আজ পর্যন্ত আমার সিএনজি, ডকুমেন্ট এবং মোট ২,৮৫,০০০ (দুই লক্ষ পঁচাশি হাজার) টাকা ফেরত দেয়নি।

অতঃপর আমি নিরুপায় হয়ে গত ৩১/৮/২০২৩ ইং তারিখে বিবাদী তিন জনসহ অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারণে আমার অভিযোগটি এফআইআর না করে কোনো প্রতিকার প্রদান করেননি।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

আপনারা জাতির বিবেক। আমার মতো একজন অসহায় নারীকে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে যদি সাহায্য করতে পারেন তাহলে আমি আপনাদের নিকট সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আপনারা আমার স্বাক্ষীগণের নিকট থেকে তথ্য নিতে পারেন। আপনাদের মহামূল্যবান সময় ব্যয় করার জন্য আমি আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ধন্যবাদান্তে
নিম্ন স্বাক্ষরকারী
লাইলি বেগম
(০১৭৪৮৮০৪৩০১)

তফসিল বর্ণিত সিএনজি:

গাড়ির নাম: সিএনজি অটোরিকশা, রং- সবুজ, মালিকানার ধরন- পার্টনার, রেজিঃ নং- সিএনজি ২৩৫৯, চেসিস নং- ৬৮৬৩৮, ইঞ্জিন নং- ১৭৬৩৭২ (বিপ্লব পরিবহন)।

চাঁদাবাজি প্রতিবাদের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের ওপর হামলা

শ্রীমঙ্গলে চুরি যাওয়া সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ: অসহায় নারীর সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় ০৭:১৬:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪

(সংবাদ সম্মেলনের লিখিত কপি হুবহু তুলে ধরা হলো)

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী লাইলি বেগম (৩৮) পিতা: মৃত রাজা মিয়া, সাং- শংকর সেনা, আশিদ্রোণ ইউপি, থানা: শ্রীমঙ্গল, জেলা: মৌলভীবাজার। আমি একজন অসহায় নারী। নিরুপায় হয়ে আপনাদের নিকট আরজি পেশ করছি, নিম্ন তফসিল বর্ণিত সিএনজি অটোরিকশাটি গত ২৮ আগস্ট ২০২১ ইং তারিখে সিলেট রোড, মৌলভীবাজার জুগিডর এলাকার মক্কা-মদিনা শোরুম থেকে ৬ লক্ষ টাকা ধার সাব্যস্ত করে কিস্তিতে ক্রয় করি। দুর্ভাগ্যক্রমে ১৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে শ্রীমঙ্গল থেকে রাত সাড়ে তিনটায় আমার সিএনজিটি চুরি হয়ে যায়। আমি প্রথমে উপজেলার উদনাপার এলাকার আব্রুজ মিয়ার ছেলে ও সিএনজি উপজেলা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন তুর্কিকে (৫০) জানাই। তখন তিনি আমাকে জানান, একটি চোর চক্র আছে, তারা সিএনজি চুরি করে।

তিনি আমার সিএনজিটি তাদের নিকট থেকে উদ্ধার করে দিতে পারবেন। এভাবে অনেক চুরি হয়ে যাওয়া সিএনজি তিনি উদ্ধার করে দিয়েছেন অন্য মালিকদের। তিনি শর্ত দেন আমার সিএনজির ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ না করার জন্য। তার কথা মতো আমি পুলিশের নিকট কোনো অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকি। এ সময় সালাউদ্দিন তুর্কির সাথে আরও যোগ দেন সুরমা ভেলী এলাকার রজব আলীর ছেলে ও আব্দুল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক আব্দুল্লাহ (৫২) এবং হবিগঞ্জ রোড সিএনজি ২৩৫৯ গ্রুপ পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মোঃ কাইয়ুম মিয়া। এ সময় তারা চোর চক্রের সাথে দেখা করতে হবিগঞ্জ যেতে হবে বলে আমার নিকট থেকে গাড়ি ভাড়া ও তাদের চা নাস্তা খাওয়াতে পাঁচ হাজার টাকা নেন।

পরের দিন তারা আমাকে জানান আমার সিএনজিটি পাওয়া গেছে তবে চোর চক্র নাকি ৩ লক্ষ টাকা দাবি করেছে। যদি আমি তাদের ওই টাকা দেই তবে তারা আমার সিএনজিটি ফেরত দেবে বলে জানায়। তাদের কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। এত টাকা আমি কোথায় পাব এই চিন্তায়। তারপর অনেক চিন্তা করে আমি বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ধার দেনা করে ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে উল্লেখিত বিবাদীদের নিকট নগদ ২,৭০,০০০ (দুই লক্ষ সত্তর হাজার) টাকা পরিশোধ করি এই শর্তে যে, আমার সিএনজিটি চোরের নিকট থেকে এনে পরের দিন দিবে। এ সময় সালাউদ্দিন তুর্কি আমার নিকট থেকে গাড়ির সকল মালিকানার কাগজপত্র চেয়ে নেন। আমি সরল বিশ্বাসে তাকে সকল ডকুমেন্ট দিয়ে দেই। কিন্তু পরদিন তারা আমার সিএনজি না এনে আব্দুল্লাহ পুলিশের কথা বলে আমার নিকট আরও ১০,০০০ (দশ হাজার) টাকা নেয়। পরদিন তারা আমার সিএনজি এনে দিতে না পেরে বলে কালকে চলে আসবে। এভাবে তারা নানা টালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে।

আমি বুঝতে পারি তারা আমার সাথে প্রতারণা করেছে। বিষয়টি আমার চাক্ষুষ সাক্ষী সুরমা ভেলী এলাকার মহসিন মিয়া, শংকর সেনা এলাকার জয়নাল মিয়া ইউপি সদস্য, ফটকির জুবেদ মিয়া, মুজিব মিয়া, রিপন মিয়া, লাল বাগের আকবর মিয়াসহ শালিস বৈঠকে যুক্ত হন উপজেলার প্রবীণ মুরুব্বী জনাব ইউছুব আলী, জনাব আছকির মিয়া সহ প্রমুখ। শালিস বৈঠকে আমার পক্ষে রায় হলেও তারা আজ পর্যন্ত আমার সিএনজি, ডকুমেন্ট এবং মোট ২,৮৫,০০০ (দুই লক্ষ পঁচাশি হাজার) টাকা ফেরত দেয়নি।

অতঃপর আমি নিরুপায় হয়ে গত ৩১/৮/২০২৩ ইং তারিখে বিবাদী তিন জনসহ অজ্ঞাতনামা চোর চক্রের সহায়তাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি। কিন্তু থানা পুলিশ অজ্ঞাত কারণে আমার অভিযোগটি এফআইআর না করে কোনো প্রতিকার প্রদান করেননি।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

আপনারা জাতির বিবেক। আমার মতো একজন অসহায় নারীকে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে যদি সাহায্য করতে পারেন তাহলে আমি আপনাদের নিকট সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। আপনারা আমার স্বাক্ষীগণের নিকট থেকে তথ্য নিতে পারেন। আপনাদের মহামূল্যবান সময় ব্যয় করার জন্য আমি আপনাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ধন্যবাদান্তে
নিম্ন স্বাক্ষরকারী
লাইলি বেগম
(০১৭৪৮৮০৪৩০১)

তফসিল বর্ণিত সিএনজি:

গাড়ির নাম: সিএনজি অটোরিকশা, রং- সবুজ, মালিকানার ধরন- পার্টনার, রেজিঃ নং- সিএনজি ২৩৫৯, চেসিস নং- ৬৮৬৩৮, ইঞ্জিন নং- ১৭৬৩৭২ (বিপ্লব পরিবহন)।