দেশের অন্যতম শীতলতম স্থান এবং চায়ের রাজধানী খ্যাত পর্যটন এলাকা শ্রীমঙ্গল বর্তমানে কুয়াশার ঘন চাদরে ঢেকে রয়েছে। শনিবার সকাল থেকে শুরু করে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি এ অঞ্চলে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা গত কয়েক দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন।
তাপমাত্রার ক্রমশ পতন
স্থানীয় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক দিনে শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ দশমিক ৩ থেকে ১৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করেছে। শ্রীমঙ্গলের সিনিয়র সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আনিসুর রহমান জানান, তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে এবং শীতের তীব্রতা ক্রমাগত বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, “আগামী তিন দিন পর্যন্ত শ্রীমঙ্গলে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেলেও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে।”
শীতের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত
শীতের প্রকোপে শ্রীমঙ্গলের চা শ্রমিক এবং নিম্ন আয়ের মানুষজন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঠান্ডার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগ, বিশেষত সর্দি, কাশি, অ্যাজমা, এবং জ্বরের প্রকোপ। ধুলোবালির কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
চায়ের বাগান এলাকার শ্রমিকরা জানান, কুয়াশা এবং ঠান্ডা হাওয়ার কারণে কাজ করতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। একইসঙ্গে শীতবস্ত্রের অভাবের কারণে চা শ্রমিকদের জীবনযাত্রা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
পর্যটনের উপর প্রভাব
শ্রীমঙ্গলের এমন শীতল আবহাওয়া পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হলেও কুয়াশার কারণে চলাচলে অসুবিধা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত পর্যটকরা দিনের বেলায়ও ঘন কুয়াশার কবলে পড়ছেন।
শ্রীমঙ্গলের এই শীতল পরিবেশ আর প্রকৃতির রূপ পর্যটকদের মুগ্ধ করলেও, স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা প্রভাবিত করছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।
শীতকালীন প্রস্তুতি এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা: স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে বেশি করে গরম পোশাক ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি।
আপডেট: শ্রীমঙ্গলে আবহাওয়ার পরিস্থিতি জানার জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।