ঢাকা ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ
Logo শ্রীমঙ্গলে পৃথক স্থান থেকে টমটম চালক ও অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার Logo চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি হাজী মুজিবের; অন্য বিএনপি নেতার সংবাদ সম্মেলন Logo সিরাজনগর দরবার শরীফের পবিত্র জশনে জুলুসে ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন Logo সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ Logo পিলখানা ট্র্যাজেডি: সোহেল তাজের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন, দাবী সুষ্ঠু তদন্তের Logo আবারো বন্যার শঙ্কা: আবহাওয়া অধিদপ্তর Logo সারাদেশে চিকিৎসকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা Logo কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া Logo শ্রীমঙ্গলে ময়লার ভাগাড় সরানোর দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন: ৭ বছরের প্রতীক্ষা শেষে নতুন আশ্বাস Logo হাতিরঝিল লেকে নারী সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার: পুলিশের তদন্ত শুরু

শ্রীমঙ্গলে পৃথক স্থান থেকে টমটম চালক ও অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

বামে : নিহত আবুল খায়ের, ডানে : অজ্ঞাত কিশোরী

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে টমটম চালক ও অজ্ঞাত কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট চা বাগানের ১১ নং সেকশন এলাকা থেকে ১১ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর আবুল খায়ের (৩১) নামে এক টমটম চালকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আবুল খায়ের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের গাজিপুর এলাকার আনছর আলীর ছেলে। তিনি শহরতলীর রামনগর এলাকায় বসবাস করতেন। আবুল খায়েরের বড় বোন ইয়াসমিন জানান, সোমবার রাত ১১টার পর থেকে ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর শ্রীমঙ্গল থানায় খবর দেন। খায়েরের মরদেহ পরে চা বাগানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে, উপজেলার ডলুছড়া এলাকায় পাহাড়ের চূড়া থেকে এক অজ্ঞাত কিশোরীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কিশোরীকে হয়তো কয়েক দিন আগে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকার আশপাশে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ ও নারী রাতের বেলা আসা-যাওয়া করে। তাই পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।

শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোবারক হোসেন খান জানান, “দুই মরদেহেরই ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।”

নিহত আবুল খায়েরের বোন ইয়াসমিন জানান, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার শিকার হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

নিহত আবুল খায়েরের স্ত্রী সুমনা আক্তারও তার স্বামীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান।

মায়ের কান্না, “আমার সব শেষ হয়ে গেছে, আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব? আমার নাতি-নাতনিরা কাকে বাবা বলে ডাকবে?” মা খোদেজা আক্তার বলেন, “যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই।”

শ্রীমঙ্গলে পৃথক স্থান থেকে টমটম চালক ও অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

x

শ্রীমঙ্গলে পৃথক স্থান থেকে টমটম চালক ও অজ্ঞাত কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ১২:৪৭:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে টমটম চালক ও অজ্ঞাত কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট চা বাগানের ১১ নং সেকশন এলাকা থেকে ১১ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর আবুল খায়ের (৩১) নামে এক টমটম চালকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

আবুল খায়ের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের গাজিপুর এলাকার আনছর আলীর ছেলে। তিনি শহরতলীর রামনগর এলাকায় বসবাস করতেন। আবুল খায়েরের বড় বোন ইয়াসমিন জানান, সোমবার রাত ১১টার পর থেকে ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর শ্রীমঙ্গল থানায় খবর দেন। খায়েরের মরদেহ পরে চা বাগানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এদিকে, উপজেলার ডলুছড়া এলাকায় পাহাড়ের চূড়া থেকে এক অজ্ঞাত কিশোরীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কিশোরীকে হয়তো কয়েক দিন আগে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকার আশপাশে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ ও নারী রাতের বেলা আসা-যাওয়া করে। তাই পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।

শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোবারক হোসেন খান জানান, “দুই মরদেহেরই ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।”

নিহত আবুল খায়েরের বোন ইয়াসমিন জানান, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার শিকার হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

নিহত আবুল খায়েরের স্ত্রী সুমনা আক্তারও তার স্বামীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান।

মায়ের কান্না, “আমার সব শেষ হয়ে গেছে, আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব? আমার নাতি-নাতনিরা কাকে বাবা বলে ডাকবে?” মা খোদেজা আক্তার বলেন, “যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই।”