মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় পৃথক দুটি স্থানে টমটম চালক ও অজ্ঞাত কিশোরীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালিঘাট চা বাগানের ১১ নং সেকশন এলাকা থেকে ১১ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর আবুল খায়ের (৩১) নামে এক টমটম চালকের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আবুল খায়ের শ্রীমঙ্গল উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের গাজিপুর এলাকার আনছর আলীর ছেলে। তিনি শহরতলীর রামনগর এলাকায় বসবাস করতেন। আবুল খায়েরের বড় বোন ইয়াসমিন জানান, সোমবার রাত ১১টার পর থেকে ভাইয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর শ্রীমঙ্গল থানায় খবর দেন। খায়েরের মরদেহ পরে চা বাগানে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে, উপজেলার ডলুছড়া এলাকায় পাহাড়ের চূড়া থেকে এক অজ্ঞাত কিশোরীর অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, কিশোরীকে হয়তো কয়েক দিন আগে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকার আশপাশে বেশ কয়েকটি রিসোর্ট রয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ ও নারী রাতের বেলা আসা-যাওয়া করে। তাই পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।
শ্রীমঙ্গল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোবারক হোসেন খান জানান, “দুই মরদেহেরই ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি এবং পরবর্তী সময়ে বিস্তারিত জানানো হবে।”
নিহত আবুল খায়েরের বোন ইয়াসমিন জানান, তার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার শিকার হয়েছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নিহত আবুল খায়েরের স্ত্রী সুমনা আক্তারও তার স্বামীর হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের দাবি জানান।
মায়ের কান্না, “আমার সব শেষ হয়ে গেছে, আমি এখন কী নিয়ে বাঁচব? আমার নাতি-নাতনিরা কাকে বাবা বলে ডাকবে?” মা খোদেজা আক্তার বলেন, “যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে, তাদের কঠিন শাস্তি চাই।”