মৌলভীবাজার ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
Logo পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড Logo সৌদি আরব পৌঁছেছেন ১৭৬৯৪ হজযাত্রী Logo বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo অশ্লীল ভিডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তার: যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব Logo হাসিনা-রেহানা-টিউলিপসহ ৫৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Logo মৌলভীবাজারে এড. সুজন মিয়া মিসকিলিংয়ের শিকার; পুলিশের চাঞ্চল্যকর তথ্য; গ্রেপ্তার ৫ Logo সাংবাদিকের জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার Logo বিনিয়োগ সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে মাদকবিরোধী অভিযান: ১ কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক ৬ Logo সংবিধান ছাড়া যত সংস্কার আছে করেন : বিএনপি নেতা নাসের

কুলাউড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই তরুণ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন!

কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ছৈদল বাজারে অবস্থিত একটি ভ্যারাইটিজ দোকান আগুনে পুড়ে সম্পুর্ণ ছাই হয়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দোকানের মালিক সুজাপুর গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম (৩২)। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাচ্ছিল এর কিছু সময়ের মধ্যেই স্থানীয় পাবেল মিয়া, সানি আহমদ, ছুরত মিয়া দোকানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা এসে দোকান মালিককে খবর দেয় কিন্তু ততক্ষণে দোকানটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চোখের সামনেই পুড়ে গেল ছৈদল বাজারে অবস্থিত “সালাম টেলিকম এন্ড ভ্যারাইটিজ ষ্টোর” নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রতিবেদককে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী আব্দুস সালাম জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিলাম। কিন্তু রাত ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসি। তখন স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু চোখের সামনের আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ধারণা করছি কোন দুস্কৃতিকারী এ অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে। পরবর্তিতে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকেরা বলেন কারেন্ট থেকে আগুন লাগার কোন আলামত পাননি। আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

দোকানের মালিক আরো জানান অনেক কষ্টে ব্যবসার প্রসার ঘটাই। দীর্ঘদিন থেকে বিকাশ, ধান, চালসহ ভ্যারাইটিজ মালের ব্যবসা করে আসছিলাম। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দোকানের সব কিছু। কী করব? কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, দোকানে নগদ ৫লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা, ৯টি মোবাইল (যার বাজার মুল্য প্রায় পঁচানব্বই হাজার টাকা), ভ্যারাইটিজ মাল অনুমান আঠারো লক্ষ টাকা, দোকান ঘর পুঁড়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকাসহ সর্বমোট ৩৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। দুস্কৃতিকারী আগুন লাগিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড

কুলাউড়ায় আগুনে পুড়ে ছাই তরুণ ব্যবসায়ীর স্বপ্ন!

আপডেট সময় ০৪:১৮:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের ছৈদল বাজারে অবস্থিত একটি ভ্যারাইটিজ দোকান আগুনে পুড়ে সম্পুর্ণ ছাই হয়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, দোকানের মালিক সুজাপুর গ্রামের মো. রফিক মিয়ার ছেলে আব্দুস সালাম (৩২)। সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যাচ্ছিল এর কিছু সময়ের মধ্যেই স্থানীয় পাবেল মিয়া, সানি আহমদ, ছুরত মিয়া দোকানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে স্থানীয়রা এসে দোকান মালিককে খবর দেয় কিন্তু ততক্ষণে দোকানটি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। চোখের সামনেই পুড়ে গেল ছৈদল বাজারে অবস্থিত “সালাম টেলিকম এন্ড ভ্যারাইটিজ ষ্টোর” নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রতিবেদককে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্তাধিকারী আব্দুস সালাম জানান, প্রতিদিনের মতো গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় ফিরছিলাম। কিন্তু রাত ১০টার দিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসি। তখন স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু চোখের সামনের আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ধারণা করছি কোন দুস্কৃতিকারী এ অগ্নিকান্ড ঘটিয়েছে। পরবর্তিতে কুলাউড়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন।

ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের লোকেরা বলেন কারেন্ট থেকে আগুন লাগার কোন আলামত পাননি। আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে হয়েছে এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

দোকানের মালিক আরো জানান অনেক কষ্টে ব্যবসার প্রসার ঘটাই। দীর্ঘদিন থেকে বিকাশ, ধান, চালসহ ভ্যারাইটিজ মালের ব্যবসা করে আসছিলাম। মুহূর্তের মধ্যেই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে দোকানের সব কিছু। কী করব? কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে, দোকানে নগদ ৫লক্ষ পঁচিশ হাজার টাকা, ৯টি মোবাইল (যার বাজার মুল্য প্রায় পঁচানব্বই হাজার টাকা), ভ্যারাইটিজ মাল অনুমান আঠারো লক্ষ টাকা, দোকান ঘর পুঁড়ে প্রায় ৯ লক্ষ টাকাসহ সর্বমোট ৩৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। দুস্কৃতিকারী আগুন লাগিয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখার জন্য কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।