বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “বিএনপির দাবি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে”।
তিনি বলেন, “জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি বিএনপিসহ আমরা যারা একসঙ্গে রাজপথে আন্দোলন করেছি, আমাদের সর্বাত্মক সমর্থন অব্যাহত রেখেছি”।
আজ রোববার (২৫ মে) ঢাকায় ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বা এনপিপি’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যোগ দিয়ে মি. রহমান এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে দেখা করে রাজনৈতিক দলগুলো আবারো জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। সুতরাং দেশে বিদেশে সম্মানিত দক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধানের নেতৃত্বে জনগণ অবিলম্বে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ একটি জাতীয় নির্বাচন দেখতে পাবে”।
সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করার আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার, অন্তর্বর্তী সরকার বা তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক, নাগরিকদের সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা জারি রাখতে হবে। দেশের জনগণ সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকার অবশ্যই জনগণের ন্যায্য দাবি মানতে বাধ্য। এখানে সরকারের মান-অভিমান বা রাগ-বিরাগের কোনো সুযোগ নেই”।
দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, “এক অনিশ্চিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। যে কারণে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতিদিন বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই মুহূর্তে তাদের দাবি শোনার কেউ নেই”।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন তারেক রহমান বলেন, “অল্প কিংবা বেশি সংস্কার বলে কিছু নেই। রাষ্ট্র ও রাজনীতির প্রয়োজনে সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। তবে পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে প্রায়োগিক সংস্কার বেশি জরুরি”।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “এই সরকার জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক নয়। তাই নৈতিক কারণে সরকারের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা জনগণের কাছে স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন। জনগণকে অন্ধকারে রেখে বা রাজনৈতিক দলগুলোকে অনিশ্চয়তায় রেখে শেষ পর্যন্ত কোনো পরিকল্পনা কার্যকর ও টেকসই হয় না, হবেও না”।
মুক্তবার্তা২৪.কম/ সউহে