বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, দেশের বিরুদ্ধে একটি বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। আর এই ষড়যন্ত্রের হেড কোয়ার্টার হচ্ছে দিল্লি। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার যাতে ব্যর্থ হয়, সেজন্য একটি পরাজিত গোষ্ঠী দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
নাসের রহমান বলেন, ভারতের ৪৯টি মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ প্রচারে লিপ্ত রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় ইসকনের বহিষ্কৃত এক নেতাকে গ্রেপ্তার করায় তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ওইসব ভারতীয় মিডিয়া ভুয়া সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, দেশে কি কোনো হিন্দু ভাইয়ের নির্যাতন বা মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে? এমন কোনো ঘটনাই দেশে ঘটেনি। অথচ ভারতীয় মিডিয়াগুলো মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে চায়। তাদের এই পাতানো ফাঁদে পা না দিতে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে এখানকার পতিত স্বৈরাচারিণীর দোসর শহীদ ও তার পরিবারের সদস্যরা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এ আব্দুস শহীদ আজান দিয়ে ঘুষের টাকা নিত। সেদিন মৌলভীবাজারে কোর্টে হাজিরা দিতে এলে জনগণ তাকে চোর চোর বলে চিৎকার করে। এদের লজ্জা হওয়া উচিত। তারা রাজনীতিকে কলুষিত করেছে।
শনিবার বিকেলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চাঁদনি কমিউনিটি সেন্টারের সম্মুখে কমলগঞ্জ উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সদস্য এবং কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশের সমন্বয়ক স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতা সিদ্দিকী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ মুজিবুর রহমান চৌধুরী হাজী মুজিব, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, কমলগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রধান সমন্বয়ক মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোশাররফ হোসেন বাদশা, এম এ মুকিত, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মো. মহসিন মিয়া মধু, আশিক মোসাররফ, মো. হেলু মিয়া, বকসী মিসবাউর রহমান, মতিন বকস, ফখরুল ইসলাম, মুহিতুর রহমান হেলাল, আব্দুর রহিম রিপন, আনিসুজ্জামান বায়েস, আবুল কালাম বেলাল, দুরুদ আহমেদ, মনোয়ার আহমেদ রহমান।
স্থানীয় বিএনপি নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গোলাম কিবরিয়া শফি, ইকবাল পারভেজ শাহীন, আবুল হোসেন, অলি আহমদ খান প্রমুখ।