বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মহাসচিবের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দলের বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণের অভিযোগ এনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের বরাবরে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (২ মার্চ) বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের বরাবরে পাঠানো অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান জরিপ, খন্দকার আবুল মঈন গোফরান, সদস্য মো. ইয়াকুব আলী, কাজী এমদাদুল হক, এম এ কাইয়ুম, মো. মোবারক হোসেনসহ আরও অনেকে।
প্রেরিত লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর বর্ধিত সভায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে মো. তাজ উদ্দিন তাজু মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর জাল করে পাস কার্ড ব্যবহার করে সভায় প্রবেশ করেন। পরে তিনি জালিয়াতি করা পাস কার্ডটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করলে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র অসন্তোষ ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।
অথচ, বর্তমানে শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সক্রিয় রয়েছে এবং সেখানে ‘সাধারণ সম্পাদক’ নামে কোনো পদ বিদ্যমান নেই।
এ বিষয়ে সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে-দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, মিফতা সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুন ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপনের বরাবরে।
জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. তাজ উদ্দিন তাজু বলেন, “অভিযোগের ব্যাপারে সেন্ট্রাল থেকে জানতে চাইলে আমি জবাব দেব। যেখান থেকে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, তারা যদি ভুল করে থাকেন, তাহলে আমার কী করার আছে?” বলে প্রশ্ন রাখেন তিনি।
মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ুনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মুক্তবার্তা২৪.কম/ ০২/০৩/২০২৫ইং