বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর আসনের সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেছেন, ভারতের কিছু অনলাইন পত্রপত্রিকায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে, রাজনগরের কুশিয়ারা নদীর পাড় থেকে দক্ষিণে কামারচাক পর্যন্ত হাজার হাজার হিন্দু পরিবার বসবাস করছে। কোথাও কি কোনো হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা হয়েছে? কোনো মন্দিরে আক্রমণ হয়েছে? এসব প্রশ্নের মাধ্যমে তিনি ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারের জবাব দিতে দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানান।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজনগর সরকারি কলেজ মাঠে উপজেলা বিএনপির আয়োজনে কর্মী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু ভাইয়েরা শান্তিতে বসবাস করছে। তাদেরকেই এগিয়ে এসে প্রমাণ করতে হবে যে এসব অপপ্রচার মিথ্যা। কারণ মুসলমানরা এর জবাব দিলে হয়তো কেউ বিশ্বাস করবে না। কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা বললে তা গ্রহণযোগ্য হবে। তিনি অভিযোগ করেন যে, এসব মিথ্যাচার পতিত হাসিনা ও তার দোসররা দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে মদদ দিচ্ছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন: জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম বেলাল, প্রবাসী বিএনপি নেতা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়ছল আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, এম এ মুকিত, মোহাম্মদ হেলু মিয়া, আশিক মোর্শারফ, ফখরুল ইসলাম, বকসি মিছবাউর রহমান, মতিন বক্স, মোহাম্মদ আব্দুর রহিম রিপন, মনোয়ার আহমেদ রহমান, আনিছুজ্জামান বায়েছ, স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান, আশরাফুরজ্জামান খান নাহাজ, দূরুদ আহমদ, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।
এম নাসের রহমান বলেন, “বিএনপির কোনো নেতা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে আওয়ামী লীগের সাত মাসের এমপির সাথে যোগ দিলে তাকে দল থেকে সাবধান থাকতে হবে। বিএনপি নেতাদের দলীয় আদর্শের প্রতি সৎ থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, এলাকার উন্নয়ন করতে এমপি হওয়া লাগে না। আমি ও মরহুম এম সাইফুর রহমান রাজনগরের উন্নয়ন করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার রাজনগরের উন্নয়নে তেমন কিছুই করেনি। রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়ক ভেঙে গেছে, তবে এই সড়কের কাজের প্রস্তাব পাঠানো হলেও তা বাতিল করা হয়। আমি যোগাযোগ উপদেষ্টার সাথে কথা বলে রাজনগর-বালাগঞ্জ সড়ক এবং মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের প্রকল্প পাস করিয়েছি।