চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গত কয়েক দিনের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে, তবে ঘন কুয়াশার দখলে রয়েছে পুরো এলাকা। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল উপজেলা। এতে চা বাগানের শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে এবং প্রাণীকুলেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রির ঘরে। তখন দিনের বেলা সূর্যের আলো থাকায় শীতের প্রকোপ কম অনুভূত হলেও এখন ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক মজিবুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় স্থানীয় আবহাওয়া অফিসে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সৌখিন ফটোগ্রাফার তারিক হাসান তার ফেসবুকে একটি পাখির ছবি আপলোড করে লিখেছেন, ‘আজ হেব্বি ঠান্ডা রে।’ তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে জনদুর্ভোগ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাণ প্রকৃতিতে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে বনের পশুপাখিরা খাবার সংগ্রহে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে।’
এদিকে সূর্যের দেখা না পাওয়া, ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকা এবং হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার ফলে সাপ্তাহিক কর্মদিবসের শেষ দিনে শহরের জনসমাগম ছিল কম। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপও বেড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং তা কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।