মৌলভীবাজার ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে ‘তারণ্যের উৎসব-২০২৫ বসন্ত বরণ’ অনুষ্ঠিত

  • এম এ রকিব
  • আপডেট সময় ০৪:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 20

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমকালো আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘‘তারণ্যের উৎসব-২০২৫ বসন্ত বরণ”। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা নানান জাতের ফুটন্ত ফুলের সমাহারের পাশাপাশি কৃত্রিম ফুলের সমন্বয়ে নান্দনিক সাজ এবং ব্যাতিক্রমী আয়োজন করা হয় বসন্ত বরণে। ছিল জুলাই বিপ্লবের ঘটনার চোখ জুড়ানো একটি কর্নারও। বিকেল থেকে শুরু হয় স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে তরুন-তরুনীসহ নানান বয়সের সাংস্কৃতিমনা মানুষ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা তারণ্যের এই অুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হয়। তার আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের জেলা পরিষদ মাঠে বসন্ত বরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. ইসলাম উদ্দিন।

তিনি জানান, যেহেতু শ্রীমঙ্গল হচ্ছে দেশের অন্যতম একটি পর্যটন এলাকা। তাই প্রকৃতির সাথে মিল রেখে কৃত্রিম সাজে বৈচিত্র্য আনা হলেও এই আয়োজনের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করাই ছিল মূল লক্ষ্য। এটি করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রকমারী জাতের হাজারো ফুটন্ত ফুল গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। উৎসব মাঠে সেগুলিকে গার্ডেনিং করে ফুটিয়ে তুলতে এবং নান্দনিকতা আনতে কৃত্রিমতার সম্বনয় করা হয়। যা দর্শনার্থীদের দারুণ ভাবে দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। দিনভর মন ভরে আগত দর্শনাথীরা একে অন্যের ছবি তুলেছেন প্রতিটি সেল্পি জোনে।

তিনি আরও বলেন, এই উৎসব কেবল বসন্ত বরণ নয়। এটি তারুণ্যের প্রাণের উৎসব। আমরা চেয়েছি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বসন্তের রঙে রাঙিয়ে উঠুক। এজন্যই এসব আয়োজন। বসন্ত আমাদের জীবনে নতুন করে আনন্দ আর উদ্দীপনা নিয়ে আসে। এই উৎসব আমাদের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অংশ। আমরা প্রতি বছর এই উৎসব আয়োজন করিব, যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারে এবং এটি স্থানীয়দের মধ্যে একটি জনপ্রিয় উৎসব হয়।

জানা যায়, বসন্ত উৎসব মূলত পহেলা ফাল্গুন বা ১৪ই ফেব্রুয়ারী হলেও ব্যতিক্রম করা হয় এবার। কারণ ওই দিন রাতে পবিত্র শবে বরাত থাকায় এক দিন এগিয়ে এনে ‘তারণ্যের উৎসব ২০২৫ বসন্ত বরণ’ করা হয়েছে। ফাল্গুনের একদিন আগেই বসন্তের মন জুড়ানো রঙিন ফুলের উপহার প্রাণ ফিরে পায় এবং হৃদয়ে আনন্দের দোলা দেয় আগত প্রতিটি মানুষের মনে।

উৎসবে আসা দারিকা পাল মহিলা কলেজের প্রভাষক জলি পাল বলেন, বসন্ত মানেই প্রাণের উচ্ছ্বাস। এখানে এসে মনে হচ্ছে প্রকৃতি আর মানুষের মেলবন্ধন। তারুণ্যের এই উৎসব আমাদের হৃদয়ে আনন্দের দোলা দিয়েছে।

নার্সারি ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ফুল নিয়ে এমন মেলা আমি এর আগে কখনো দেখিনি। ফুল নিয়ে আসতে পেরে আমার আনন্দ হচ্ছে।

উল্লেখ্য, উৎসবে শিল্পীরা গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশীয় খাদ্যদ্রব্য ও পিঠা পুলির প্রদর্শনী নিয়ে অংশগ্রহণ করেন কয়েকজন উদ্যোগতা। দর্শনার্থীরা রঙ-বেরঙের বসন্তের পোশাক পড়ে বসন্তের আনন্দ উপভোগ করেন।

মুক্তবার্তা২৪.কম ১৪/০২/২০২৫ইং/ সইজে

x

শ্রীমঙ্গলে ‘তারণ্যের উৎসব-২০২৫ বসন্ত বরণ’ অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় ০৪:৫৬:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমকালো আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘‘তারণ্যের উৎসব-২০২৫ বসন্ত বরণ”। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা নানান জাতের ফুটন্ত ফুলের সমাহারের পাশাপাশি কৃত্রিম ফুলের সমন্বয়ে নান্দনিক সাজ এবং ব্যাতিক্রমী আয়োজন করা হয় বসন্ত বরণে। ছিল জুলাই বিপ্লবের ঘটনার চোখ জুড়ানো একটি কর্নারও। বিকেল থেকে শুরু হয় স্থানীয় শিল্পীদের নিয়ে মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে তরুন-তরুনীসহ নানান বয়সের সাংস্কৃতিমনা মানুষ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা তারণ্যের এই অুষ্ঠানটি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় শেষ হয়। তার আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহরের জেলা পরিষদ মাঠে বসন্ত বরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মো. ইসলাম উদ্দিন।

তিনি জানান, যেহেতু শ্রীমঙ্গল হচ্ছে দেশের অন্যতম একটি পর্যটন এলাকা। তাই প্রকৃতির সাথে মিল রেখে কৃত্রিম সাজে বৈচিত্র্য আনা হলেও এই আয়োজনের মাধ্যমে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করাই ছিল মূল লক্ষ্য। এটি করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রকমারী জাতের হাজারো ফুটন্ত ফুল গাছ সংগ্রহ করা হয়েছে। উৎসব মাঠে সেগুলিকে গার্ডেনিং করে ফুটিয়ে তুলতে এবং নান্দনিকতা আনতে কৃত্রিমতার সম্বনয় করা হয়। যা দর্শনার্থীদের দারুণ ভাবে দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। দিনভর মন ভরে আগত দর্শনাথীরা একে অন্যের ছবি তুলেছেন প্রতিটি সেল্পি জোনে।

তিনি আরও বলেন, এই উৎসব কেবল বসন্ত বরণ নয়। এটি তারুণ্যের প্রাণের উৎসব। আমরা চেয়েছি সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বসন্তের রঙে রাঙিয়ে উঠুক। এজন্যই এসব আয়োজন। বসন্ত আমাদের জীবনে নতুন করে আনন্দ আর উদ্দীপনা নিয়ে আসে। এই উৎসব আমাদের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অংশ। আমরা প্রতি বছর এই উৎসব আয়োজন করিব, যাতে নতুন প্রজন্ম আমাদের সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হতে পারে এবং এটি স্থানীয়দের মধ্যে একটি জনপ্রিয় উৎসব হয়।

জানা যায়, বসন্ত উৎসব মূলত পহেলা ফাল্গুন বা ১৪ই ফেব্রুয়ারী হলেও ব্যতিক্রম করা হয় এবার। কারণ ওই দিন রাতে পবিত্র শবে বরাত থাকায় এক দিন এগিয়ে এনে ‘তারণ্যের উৎসব ২০২৫ বসন্ত বরণ’ করা হয়েছে। ফাল্গুনের একদিন আগেই বসন্তের মন জুড়ানো রঙিন ফুলের উপহার প্রাণ ফিরে পায় এবং হৃদয়ে আনন্দের দোলা দেয় আগত প্রতিটি মানুষের মনে।

উৎসবে আসা দারিকা পাল মহিলা কলেজের প্রভাষক জলি পাল বলেন, বসন্ত মানেই প্রাণের উচ্ছ্বাস। এখানে এসে মনে হচ্ছে প্রকৃতি আর মানুষের মেলবন্ধন। তারুণ্যের এই উৎসব আমাদের হৃদয়ে আনন্দের দোলা দিয়েছে।

নার্সারি ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, ফুল নিয়ে এমন মেলা আমি এর আগে কখনো দেখিনি। ফুল নিয়ে আসতে পেরে আমার আনন্দ হচ্ছে।

উল্লেখ্য, উৎসবে শিল্পীরা গান, নাচ ও আবৃত্তি পরিবেশন করার পাশাপাশি বিভিন্ন দেশীয় খাদ্যদ্রব্য ও পিঠা পুলির প্রদর্শনী নিয়ে অংশগ্রহণ করেন কয়েকজন উদ্যোগতা। দর্শনার্থীরা রঙ-বেরঙের বসন্তের পোশাক পড়ে বসন্তের আনন্দ উপভোগ করেন।

মুক্তবার্তা২৪.কম ১৪/০২/২০২৫ইং/ সইজে