শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক এম. ইদ্রিস আলীর সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর ২০২৫) রাত ৮টায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় আলোচ্য বিষয় ছিল—গত ১ নভেম্বর রাতে উপজেলার শংকরসেনা এলাকায় এম. ইদ্রিস আলী নাসরিন নামে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় এলাকাবাসীর হাতে আটক হওয়ার ঘটনা এবং সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া। এ ঘটনায় প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ায় সভায় উপস্থিত সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেন—প্রাথমিকভাবে তাঁর সদস্যপদ স্থগিত রাখা হবে।
একইসঙ্গে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদের ‘ঙ’ ও ‘চ’ ধারায় নৈতিক স্খলন ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়, “কেন তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না” সে বিষয়ে ৫ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে জবাব দিতে হবে।
এছাড়া এই ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের লক্ষ্যে একটি ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিনকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন—কোষাধ্যক্ষ এহসান বিন মোজাহির, আবুজার রহমান বাবলা, সাধারণ সদস্য শাহাব উদ্দিন আহমদ ও রুবেল আহমেদ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ. ফ. ম. আব্দুল হাই ডন, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত রবিন, যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর সালাউদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ এহসান বিন মোজাহির, দপ্তর সম্পাদক মুসলিম চৌধুরী, সদস্য শাকির আহমেদ, আবুজার রহমান বাবলা ও নূর মোহাম্মদ সাগর।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা বলেন, “গত ১ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে এম. ইদ্রিস আলীকে উপজেলার শংকরসেনা গ্রামের জনৈকা বিধবা নারী নাসরিন আক্তারের সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসী আটক করে। এ ঘটনায় তৈরি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং পরদিন স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে প্রেসক্লাবের সুনাম ও মর্যাদা মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে।”
সদস্যরা আরও জানান, এম. ইদ্রিস আলী বিভিন্ন প্রতিবাদ সভা ও ফেসবুক লাইভে হাজির হয়ে যে ব্যাখ্যা প্রচার করেছেন, তা পর্যবেক্ষণ করে সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাতে সত্যতা পাননি।
তাই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নৈতিক স্খলনের দায়ে তাঁর সদস্যপদ স্থগিত এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হবে। একই সঙ্গে বিষয়টির নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটি ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে।










