সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় নিখোঁজের ৭ দিন পর ৫ বছর বয়সী শিশু মুনতাহার লাশ বাড়ির কাছের পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মুনতাহা আক্তার জেরিন কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল ভাড়ারিফৌদ গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে। আজ রবিবার ভোরে পুকুরে মরদেহের সন্ধান মেলে। এ সময় প্রতিবেশী মর্জিয়া আক্তার, তার মা আলীফজান এবং নানী কুতুবজানকে আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর সকালে মুনতাহা তার বাবার সঙ্গে ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে এসে সে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলার জন্য বেরিয়ে যায়। বিকেল হলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবার ও স্থানীয়রা মুনতাহাকে খুঁজতে শুরু করেন, কিন্তু তার সন্ধান মেলেনি। পরে কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয় এবং মুনতাহার সন্ধান দিতে পারলে পুরস্কার ঘোষণা করেন তার পরিবার।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মুনতাহাকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ খালের কাদামাটিতে পুঁতে রাখা হয়। ১০ নভেম্বর ভোরে আলীফজান মরদেহ সরিয়ে পুকুরে ফেলার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের চোখে পড়ে এবং তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তদের আটক করে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহিদ জানান, “আমরা বিশ্বাস করেছিলাম মুনতাহাকে জীবিত অবস্থায় পাবো। কিন্তু ঘরের পাশে তার মরদেহ মিলবে, তা কখনো ভাবিনি।” এলাকাবাসী মুনতাহার হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল বলেন, “মুনতাহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং মরদেহ লুকানোর চেষ্টা চলছিল। এ ঘটনার তদন্ত চলছে।” তবে হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি।