ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
ব্রেকিং নিউজ
Logo শ্রীমঙ্গলে দু’দিনব্যাপী তথ্য মেলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে আবেদন ৮২৬, মাঠেই তথ্য পেলেন ৪৮১ জন Logo মৌলভীবাজার চেম্বার অব কর্মাসের পরিচালক ও হাসি ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী গ্রেফতার Logo শ্রীমঙ্গলে কৃষকদলের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo শ্রীমঙ্গলে দু’দিনব্যাপী তথ্য মেলা উদ্বোধন Logo মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা Logo নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মৌলভীবাজারে ডায়াবেটিস দিবস পালিত Logo মৌলভীবাজারে রাস্তা পারাপারের সময় নারীর মৃত্যু Logo সিলেটে নিখোঁজের ৭ দিন পর শিশু মুনতাহার লাশ উদ্ধার Logo গাঁজা ও দেশীয় অস্ত্রসহ শ্রীমঙ্গলে ছয় যুবক আটক Logo “ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না”— জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান

হাইকোর্টে ডিআইজি প্রিজন্স বজলুরের জামিন

ছবি সংগৃহীত

দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারা অধিদফতরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশেক মোমিন।

এর আগে, গত ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।

এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।

গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ওই রায় দেন। ৫ বছর দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।

 

২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দফতরে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
ইএস/জেডএ

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রীমঙ্গলে দু’দিনব্যাপী তথ্য মেলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে তথ্য চেয়ে আবেদন ৮২৬, মাঠেই তথ্য পেলেন ৪৮১ জন

x

হাইকোর্টে ডিআইজি প্রিজন্স বজলুরের জামিন

আপডেট সময় ১০:১০:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত কারা অধিদফতরের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৫ এপ্রিল) বিচারপতি মো.আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন- ব্যারিস্টার হুমায়ূন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশেক মোমিন।

এর আগে, গত ৩ নভেম্বর বজলুর রশীদের খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার জরিমানা স্থগিত করে নিম্ন আদালতের নথি তলব করেন।

এ আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় তিনি জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর তার জামিন আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।

গত ২৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন ওই রায় দেন। ৫ বছর দণ্ডের পাশাপাশি তাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রের অনুকূলে তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১১টা থেকে বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহারকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে দুদক পরিচালক মো. ইউসুফের নেতৃত্বে একটি টিম তাকে গ্রেফতার করে।

 

২০২০ সালের ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দীন বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। একই সালের ২২ অক্টোবর মামলায় বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং এস্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ন নিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কিনেন। অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বাবদ তিন কোটি ৮ লাখ টাকা পরিশোধও করেছেন। এ অ্যাপার্টমেন্ট কেনায় বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর সপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত ৩ কোটি ৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

কারা ক্যাডারের ১৯৯৩ ব্যাচের কর্মকর্তা বজলুর রশীদ ঢাকায় কারা সদর দফতরে দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৩
ইএস/জেডএ