শ্রীমঙ্গল উপজেলার ২ নং ভূনবীর ইউপি’র ভূনবীর চৌমুহনায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বালু ব্যবসায়ী জলিল মাহমুদ গং ও ফেরদৌস আহমেদ গং এর মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৯ এপ্রিল ২৩ (শনিবার) সন্ধ্যার দিকে অবৈধ বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে উপজেলার আলীসারকুল গ্রামের বালু ব্যবসায়ী জলিল মাহমুদের ভাইপো ও মৃত জয়নাল মেম্বারের পুত্র জাহিদুল ইসলাম রনির দায়ের কোপে আরেক ব্যবসায়ীর ফেরদৌস আহমেদ’র সহোদর বুলবুল আহমদ’র হাত কনুই থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে ঝুলে যায়। হাতের অবস্থা আশংকাজনক।
এসময় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে। ফেরদৌস আহমেদ বলেন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে জলীল মাহমুদ গং হামলা চালিয়েছে । তাৎক্ষণিক ভাবে তাকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে হাতের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য অদ্য ২৯ এপ্রিল শনিবার শ্রীমঙ্গল সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট স্বন্দীপ তালুকদার ভূনবীর ইউপি’র ভীমসী ও জৈতা ছড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করেন। এসময় কাউকে ঘটনাস্থলে না পেয়ে তিনি বালু উত্তোলনের সরঞ্জামাদি জব্দ ও ধ্বংস করেন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার মুক্তবার্তা২৪.কমকে জানান, ঘটনার পর পরই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও কেউ থানায় মালমা দেননি। মামলা দিলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি জানান।