মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন বলেছেন, “স্বৈরাচার চলে গেছে। স্বৈরাচার ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়ে ফিরে আসেনি। এটাই সত্য, এটাই বাস্তবতা। আল্লাহ যেন আমাদের এই অবস্থার মতোই রাখেন। পৃথিবীর ইতিহাসের মতো আমরাও যেন স্বৈরাচার মুক্ত থাকি।”
হাজার হাজার জামায়াতে ইসলামী নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টের ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনের ছাত্র জনতার বিপ্লব না হলে আজকে আমরা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করতে পারতাম না। প্রকাশ্যে কথা বলতে পারতাম না। আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে দেশে এমনভাবে লুটপাট করেছে যা প্রতিদিন অনলাইন পত্রপত্রিকায় এবং টেলিভিশনে আমরা দেখতে পাই। উন্নয়নের মহাসড়কের নামে লুটপাট ও লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচারের ঘটনা সামনে এসেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পরিবার এবং লুটপাটকারী দলের সবাই দেশের অর্থনীতি লুটেপুটে খেয়ে শেষ করে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “স্বৈরাচারিনী হাসিনা দেশের অর্থনীতির ভাণ্ডার একেবারে নিঃস্ব করে দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। যদি জুলাই-আগস্টের বিপ্লব না হতো, তাহলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বিএনপি-জামাত বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা রাজপথে না নামতো, তাহলে এই রেজিম হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হতো না। দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতো না। আমাদের দেশটাও বাঁচতো না।”
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার শহরের গভমেন্ট স্কুল মাঠে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ মৌলভীবাজার জেলার শাখার কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ময়ূন বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার বিগত সাড়ে ১৫ বছর এ জেলায় বিএনপিকে সভা-সমাবেশ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সমবেত হতে দেয়নি। জামায়াতে ইসলামকেও সমবেত হতে দেয়নি। আজ তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমাদের দাবি ছিল ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পদত্যাগ। দেশ ত্যাগ নয়। পদত্যাগ করে একটি কেয়ারটেকার সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের আয়োজন করাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলেন, “যারা এ আন্দোলনে আহত হয়েছেন বা পঙ্গু হয়েছেন, তাঁদের আশু সুস্থতা কামনা করি।”