মৌলভীবাজার ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
Logo পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড Logo সৌদি আরব পৌঁছেছেন ১৭৬৯৪ হজযাত্রী Logo বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo অশ্লীল ভিডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিস্তার: যুব সমাজের নৈতিক অবক্ষয় এবং তার ক্ষতিকর প্রভাব Logo হাসিনা-রেহানা-টিউলিপসহ ৫৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Logo মৌলভীবাজারে এড. সুজন মিয়া মিসকিলিংয়ের শিকার; পুলিশের চাঞ্চল্যকর তথ্য; গ্রেপ্তার ৫ Logo সাংবাদিকের জমির মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার Logo বিনিয়োগ সম্মেলন উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে মাদকবিরোধী অভিযান: ১ কেজি ১০০ গ্রাম গাঁজাসহ আটক ৬ Logo সংবিধান ছাড়া যত সংস্কার আছে করেন : বিএনপি নেতা নাসের

মৌলভীবাজার জেলায় বিএনপি এক ছাতার তলে থাকবে; ফয়জুল করিম ময়ূন

  • এম ইদ্রিস আলী
  • আপডেট সময় ০৬:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

কুলাউড়ায় বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন

দলের সাথে যারা বেইমানি করেছে এদের সাথে কোনো আপোষ নেই’ জিয়া পরিবারে বাইরে কোনো শ্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন হবে না

কুলাউড়া বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় ফয়জুল করিম ময়ূনের কঠোর হুঁশিয়ারি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছেন – মৌলভীবাজার জেলায় বিএনপি এক ছাতার তলে থাকবে। কেউ ছাতার বাইরে থেকে বৃষ্টিতে ভিজবে, আর কেউ বৃষ্টিতে ভিজবে না, এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। আবার কেউ রোদে জ্বলবে আবার কেউ রোদের উত্তাপ থেকে ছাতার তলে থেকে বাঁচবে এসব করা মৌলভীবাজার জেলায় বিএনপিতে আর চলবে না। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এক ছাতার তলে বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকবে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবে। সম্পূর্ণ বিভেদ ভুলে এক ছাতার তলেই সবাইকে থাকতে হবে। এটাই হলো তারেক রহমানের নির্দেশ।

ময়ূন বলেন – আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মুক্তি ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করতে গিয়ে বছরের পর বছর বানোয়াট মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফরমায়েশি রায়ে কারাগারে যখন বন্দি ছিলেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক হাসিনার নির্দেশে অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট মামলা নিয়ে তারেক রহমানকে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে রেখে যারা রাজপথে লড়াই সংগ্রামে না থেকে দলের সাথে বেইমানি করেছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের সহযোগিতা করেছে এদের সাথে আমাদের কোনো আপোষ নেই।

ময়ূন দলের নেতৃবৃন্দের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দল করতে হলে সবাইকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বিএনপির ডাকা কোনো সভা সমাবেশে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাইরে শ্লোগান দেওয়া যাবে না। জিয়া পরিবারের বাইরে কোনো ব্যক্তির নামে ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন করা যাবে না। শ্লোগান, ছবি, ব্যানার হবে শুধু তিনজনের নামে। দলের এই নিয়ম শৃঙ্খলা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর হবে। প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে আগামী ১২ ডিসেম্বর কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ ও জেলার নেতৃবৃন্দ কর্মী সমাবেশে অংশ নেবেন। এ কর্মী সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কুলাউড়ায় ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফয়জুল করিম ময়ূন দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী মোশাররফ হোসেন বাদশা, সমন্বয়ক মো. হেলু মিয়া, আনিসুজ্জামান বায়েস, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিন বকস, জেলা বিএনপির সদস্য এড. আবেদ রাজা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ার আহমেদ রহমান, মাহবুব ইজদানী ইমরান, কুলাউড়া বিএনপির শওকতুল ইসলাম শকু, বদরুজ্জামান সজল, রেদোয়ান খান, শামীম আহমদ চৌধুরী, আজিজুর রহমান মনির, হারুনুর রশীদ, আব্দুল মন্নান, গফ্ফার চৌধুরী, বিএনপি নেতা কায়সার, গোলাপ প্রমুখ।

দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ময়ূন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের ষড়যন্ত্রের জাল রুখে দিতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলবো আগামী দিনে। কারণ গণতন্ত্রের যে পরিপূর্ণ বিজয় তা এখনো অর্জিত হয়নি। একটি পথ আমরা অতিক্রম করেছি, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। আরেকটি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই মানুষের ভোটের অধিকার যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, একটি নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসবে বা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে তখনই গণতন্ত্রের যে মূল বিজয়, সেই বিজয় অর্জন করতে আমরা সক্ষম হবো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাকড

মৌলভীবাজার জেলায় বিএনপি এক ছাতার তলে থাকবে; ফয়জুল করিম ময়ূন

আপডেট সময় ০৬:৫৮:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

দলের সাথে যারা বেইমানি করেছে এদের সাথে কোনো আপোষ নেই’ জিয়া পরিবারে বাইরে কোনো শ্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুন হবে না

কুলাউড়া বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় ফয়জুল করিম ময়ূনের কঠোর হুঁশিয়ারি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের কঠোর হুঁশিয়ারি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সতর্ক বার্তা দিয়ে বলেছেন – মৌলভীবাজার জেলায় বিএনপি এক ছাতার তলে থাকবে। কেউ ছাতার বাইরে থেকে বৃষ্টিতে ভিজবে, আর কেউ বৃষ্টিতে ভিজবে না, এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। আবার কেউ রোদে জ্বলবে আবার কেউ রোদের উত্তাপ থেকে ছাতার তলে থেকে বাঁচবে এসব করা মৌলভীবাজার জেলায় বিএনপিতে আর চলবে না। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এক ছাতার তলে বিএনপির নেতাকর্মীরা থাকবে এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকবে। সম্পূর্ণ বিভেদ ভুলে এক ছাতার তলেই সবাইকে থাকতে হবে। এটাই হলো তারেক রহমানের নির্দেশ।

ময়ূন বলেন – আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের মুক্তি ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করতে গিয়ে বছরের পর বছর বানোয়াট মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট হাসিনার ফরমায়েশি রায়ে কারাগারে যখন বন্দি ছিলেন এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক হাসিনার নির্দেশে অসংখ্য মিথ্যা বানোয়াট মামলা নিয়ে তারেক রহমানকে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে রেখে যারা রাজপথে লড়াই সংগ্রামে না থেকে দলের সাথে বেইমানি করেছে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসরদের সহযোগিতা করেছে এদের সাথে আমাদের কোনো আপোষ নেই।

ময়ূন দলের নেতৃবৃন্দের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দল করতে হলে সবাইকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বিএনপির ডাকা কোনো সভা সমাবেশে শহীদ জিয়া, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বাইরে শ্লোগান দেওয়া যাবে না। জিয়া পরিবারের বাইরে কোনো ব্যক্তির নামে ছবি, ব্যানার, ফেস্টুন করা যাবে না। শ্লোগান, ছবি, ব্যানার হবে শুধু তিনজনের নামে। দলের এই নিয়ম শৃঙ্খলা যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর হবে। প্রয়োজনে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দলীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে আগামী ১২ ডিসেম্বর কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ ও জেলার নেতৃবৃন্দ কর্মী সমাবেশে অংশ নেবেন। এ কর্মী সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতৃবৃন্দদের নিয়ে কুলাউড়ায় ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফয়জুল করিম ময়ূন দলীয় নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, কুলাউড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী মোশাররফ হোসেন বাদশা, সমন্বয়ক মো. হেলু মিয়া, আনিসুজ্জামান বায়েস, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মতিন বকস, জেলা বিএনপির সদস্য এড. আবেদ রাজা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোয়ার আহমেদ রহমান, মাহবুব ইজদানী ইমরান, কুলাউড়া বিএনপির শওকতুল ইসলাম শকু, বদরুজ্জামান সজল, রেদোয়ান খান, শামীম আহমদ চৌধুরী, আজিজুর রহমান মনির, হারুনুর রশীদ, আব্দুল মন্নান, গফ্ফার চৌধুরী, বিএনপি নেতা কায়সার, গোলাপ প্রমুখ।

দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে ময়ূন বলেন, শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে। সে জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের ষড়যন্ত্রের জাল রুখে দিতে হবে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলবো আগামী দিনে। কারণ গণতন্ত্রের যে পরিপূর্ণ বিজয় তা এখনো অর্জিত হয়নি। একটি পথ আমরা অতিক্রম করেছি, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, ষড়যন্ত্র কিন্তু থেমে নেই। আরেকটি নির্বাচনের মধ্য দিয়েই মানুষের ভোটের অধিকার যখন প্রতিষ্ঠিত হবে, একটি নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসবে বা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে তখনই গণতন্ত্রের যে মূল বিজয়, সেই বিজয় অর্জন করতে আমরা সক্ষম হবো।