মৌলভীবাজার ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
Logo জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান থেকে ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায়: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পূর্ণ চিত্র Logo জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় Logo শ্রীমঙ্গলের দুই মডেলকে নিয়ে ভাইরাল ভিডিও পোস্ট; অপপ্রচার অভিযোগে থানায় জিডি করলেন জারা ইসলাম Logo রাজধানীর উত্তরা ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টরে রাজউকের অভিযান, ৫ ভবন ও ১৭ মিটার জব্দ Logo নিউইয়র্কের মেয়র হয়েই ট্রাম্পকে মামদানির হুঁশিয়ারি: ‘ভলিউম বাড়ান’ Logo শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাংবাদিক এম. ইদ্রিস আলীর সদস্যপদ স্থগিত Logo সাংবাদিক ইদ্রিস আলীর বিয়ে বিতর্ক: ভাইরাল ভিডিও থেকে জাল এফিডেভিটের অভিযোগ! Logo মৌলভীবাজার জেলায় বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেলেন চার প্রার্থী Logo শ্রীমঙ্গলে সাংবাদিক এম ইদ্রিস আলীর ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ Logo শ্রীমঙ্গলে বিএনপি নেতার ভিডিও ভাইরাল: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়

শ্রীমঙ্গলের দুই মডেলকে নিয়ে ভাইরাল ভিডিও পোস্ট; অপপ্রচার অভিযোগে থানায় জিডি করলেন জারা ইসলাম

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুই মডেলকে ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও পোস্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও অনলাইন মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন দাবি প্রকাশ পাওয়ায় ঘটনাটি আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

১৪ নভেম্বর Surma Edition নামের একটি ফেসবুক পেজে “দুই ক্রসজেন্ডার হানিট্রাপে শ্রীমঙ্গলের শতাধিক যুবক” শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে মডেল কেয়া সিনহা ও জারা আক্তারকে (জারা ইসলাম) কেন্দ্র করে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। ভিডিওতে বলা হয়—দুজনেই নাকি হানি ট্র্যাপ চক্রে জড়িত এবং ঘনিষ্ঠতার ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন যুবকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে থাকেন। এমনকি লন্ডনপ্রবাসী রুবেল আহমদ নামের একজনকে শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে ঘটনার শিকার করার দাবি করা হয় ওই ভিডিওতে। তবে ওই ভিডিওতে করা অভিযোগের কোনো যাচাইযোগ্য প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পরদিন ১৫ নভেম্বর মডেল জারা ইসলাম শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন—তার ও তার বন্ধু কেয়া সিনহার ছবি ও ভিডিও এডিট করে বিকৃতভাবে তৈরি করে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও ফোন নম্বর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

জারা ইসলাম বলেন, “আমি শ্রীমঙ্গলে একটি বিউটি পার্লার পরিচালনা করি এবং বিভিন্ন জায়গায় মডেলিং করি। তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানুষ হিসেবে অনেক কষ্ট করে সমাজে একটি অবস্থানে পৌঁছেছি। কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে। আমি এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই।”

শ্রীমঙ্গল থানার এএসআই নাহিদুর রহমান জানান, “আমরা জিডিটি গ্রহণ করেছি। ভিডিওটি কোন আইডি থেকে প্রচার হয়েছে বা কারা জড়িত—তা যাচাই করা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্তসাপেক্ষ এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে নানা আলোচনা থাকলেও অভিযোগগুলোর সত্যতা সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার উৎস অনুসন্ধান করছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান থেকে ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায়: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পূর্ণ চিত্র

শ্রীমঙ্গলের দুই মডেলকে নিয়ে ভাইরাল ভিডিও পোস্ট; অপপ্রচার অভিযোগে থানায় জিডি করলেন জারা ইসলাম

আপডেট সময় ০৭:২৩:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে দুই মডেলকে ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও পোস্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও অনলাইন মহলে ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের ভিন্ন ভিন্ন দাবি প্রকাশ পাওয়ায় ঘটনাটি আরও বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

১৪ নভেম্বর Surma Edition নামের একটি ফেসবুক পেজে “দুই ক্রসজেন্ডার হানিট্রাপে শ্রীমঙ্গলের শতাধিক যুবক” শিরোনামে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে মডেল কেয়া সিনহা ও জারা আক্তারকে (জারা ইসলাম) কেন্দ্র করে নানা ধরনের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। ভিডিওতে বলা হয়—দুজনেই নাকি হানি ট্র্যাপ চক্রে জড়িত এবং ঘনিষ্ঠতার ফাঁদে ফেলে ভিডিও ধারণ করে বিভিন্ন যুবকের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে থাকেন। এমনকি লন্ডনপ্রবাসী রুবেল আহমদ নামের একজনকে শ্রীমঙ্গলের লেমন গার্ডেন রিসোর্টে নিয়ে গিয়ে ঘটনার শিকার করার দাবি করা হয় ওই ভিডিওতে। তবে ওই ভিডিওতে করা অভিযোগের কোনো যাচাইযোগ্য প্রমাণ প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর পরদিন ১৫ নভেম্বর মডেল জারা ইসলাম শ্রীমঙ্গল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন—তার ও তার বন্ধু কেয়া সিনহার ছবি ও ভিডিও এডিট করে বিকৃতভাবে তৈরি করে সামাজিকমাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন ফেসবুক আইডি ও ফোন নম্বর থেকে তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

জারা ইসলাম বলেন, “আমি শ্রীমঙ্গলে একটি বিউটি পার্লার পরিচালনা করি এবং বিভিন্ন জায়গায় মডেলিং করি। তৃতীয় লিঙ্গের একজন মানুষ হিসেবে অনেক কষ্ট করে সমাজে একটি অবস্থানে পৌঁছেছি। কিছু ব্যক্তি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার সম্মানহানি করার চেষ্টা করছে। আমি এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা চাই।”

শ্রীমঙ্গল থানার এএসআই নাহিদুর রহমান জানান, “আমরা জিডিটি গ্রহণ করেছি। ভিডিওটি কোন আইডি থেকে প্রচার হয়েছে বা কারা জড়িত—তা যাচাই করা হচ্ছে। অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্তসাপেক্ষ এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়ভাবে নানা আলোচনা থাকলেও অভিযোগগুলোর সত্যতা সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বর্তমানে তদন্তাধীন, এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার উৎস অনুসন্ধান করছে।