মৌলভীবাজার ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম
Logo মৌলভীবাজারের তিন সীমান্তে বিজিবির সর্বোচ্চ সতর্কতা Logo সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সর্বোচ্চ সতর্কতা জোড়দার Logo হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল মালিক আটক Logo আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া: অসুস্থতার এই সময়ে তার সুস্থতা ও রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন কেন জাতীয় প্রয়োজন Logo জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান থেকে ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির রায়: সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পূর্ণ চিত্র Logo জুলাই–আগস্ট গণ–অভ্যুত্থান মামলায় শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় Logo শ্রীমঙ্গলের দুই মডেলকে নিয়ে ভাইরাল ভিডিও পোস্ট; অপপ্রচার অভিযোগে থানায় জিডি করলেন জারা ইসলাম Logo রাজধানীর উত্তরা ১২ ও ১৪ নম্বর সেক্টরে রাজউকের অভিযান, ৫ ভবন ও ১৭ মিটার জব্দ Logo নিউইয়র্কের মেয়র হয়েই ট্রাম্পকে মামদানির হুঁশিয়ারি: ‘ভলিউম বাড়ান’ Logo শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাংবাদিক এম. ইদ্রিস আলীর সদস্যপদ স্থগিত

হাওরের হৃদয়ে বাইক্কা বিল

বাইক্কাবিলে পরিযায়ী পাখিদের উড়ে বেড়ানো মনোমুগ্ধকর দৃশ্য

সবুজ চা-বাগান আর নৈসর্গিক পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল শুধু চা-এর জন্যই নয়, বরং হাওর আর বিলের অপার সৌন্দর্যের জন্যও পরিচিত। তার মধ্যেই সবচেয়ে বিখ্যাত একটি নাম বাইক্কা বিল।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের অংশ এই বাইক্কা বিল, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাখির অভয়ারণ্য এবং জলজ জীববৈচিত্র্যের অভিজ্ঞান হিসেবে বিবেচিত। ২০০৩ সালে এটি “স্থায়ী পাখির অভয়ারণ্য” হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বাইক্কা বিল বছরে প্রায় ৫-৬ মাস পানিতে ডুবে থাকে। বর্ষা মৌসুমে এখানে জমে উঠে বিশাল জলরাশি। আর সেই পানিতে খেলা করে রুই, কাতলা, টেংরা, পাবদা, বোয়ালসহ বহু জাতের মাছ। বিলজুড়ে শাপলা-শালুকের নরম বাহার আর গাছপালার ছায়ায় সৃষ্টি হয় এক মায়াবী পরিবেশ।

শীত এলে বাইক্কা বিল রূপ নেয় এক স্বপ্নের রাজ্যে। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজারো অতিথি পাখি, পাতি সরালি, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, খঞ্জনা, নীলশির কাস্তেচরা সহ বহু জাতের পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক।

স্থানীয় রফিক মিয়া বলেন, শীতে পাখিদের ঝাঁক দেখে মনে হয় আকাশও যেন নেমে এসেছে বিলে। এখানে যারা একবার আসে, বারবার ফিরে আসে।

বাইক্কা বিল এখন পর্যটকদের কাছে এক দারুণ গন্তব্য। বিলের পাশে তৈরি করা হয়েছে নজরদারি টাওয়ার, যেখানে উঠে পর্যটকরা দূরবীন দিয়ে পাখি ও প্রকৃতি দেখতে পারেন। পাশাপাশি, স্থানীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ, আইইউসিএনসহ বিভিন্ন সংস্থা।

তবে সবকিছুর মাঝেও চিন্তার কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত ধানচাষ, কীটনাশক ব্যবহার, জলজ আগাছা, ও অপ্রয়োজনীয় মাছ ধরা জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পর্যটকদের যথাযথ নিয়ম না মানার কারণেও মাঝে মাঝে পরিবেশে ক্ষতি হয়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিবেশ কর্মকর্তা বলেন, বাইক্কা বিল শুধু শ্রীমঙ্গলের সম্পদ নয়, এটা জাতীয় ঐতিহ্য। একে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।

মৌলভীবাজারের তিন সীমান্তে বিজিবির সর্বোচ্চ সতর্কতা

হাওরের হৃদয়ে বাইক্কা বিল

আপডেট সময় ০৬:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫

সবুজ চা-বাগান আর নৈসর্গিক পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত শ্রীমঙ্গল শুধু চা-এর জন্যই নয়, বরং হাওর আর বিলের অপার সৌন্দর্যের জন্যও পরিচিত। তার মধ্যেই সবচেয়ে বিখ্যাত একটি নাম বাইক্কা বিল।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের অংশ এই বাইক্কা বিল, যা বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাখির অভয়ারণ্য এবং জলজ জীববৈচিত্র্যের অভিজ্ঞান হিসেবে বিবেচিত। ২০০৩ সালে এটি “স্থায়ী পাখির অভয়ারণ্য” হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বাইক্কা বিল বছরে প্রায় ৫-৬ মাস পানিতে ডুবে থাকে। বর্ষা মৌসুমে এখানে জমে উঠে বিশাল জলরাশি। আর সেই পানিতে খেলা করে রুই, কাতলা, টেংরা, পাবদা, বোয়ালসহ বহু জাতের মাছ। বিলজুড়ে শাপলা-শালুকের নরম বাহার আর গাছপালার ছায়ায় সৃষ্টি হয় এক মায়াবী পরিবেশ।

শীত এলে বাইক্কা বিল রূপ নেয় এক স্বপ্নের রাজ্যে। দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে হাজারো অতিথি পাখি, পাতি সরালি, পানকৌড়ি, বেগুনি কালেম, খঞ্জনা, নীলশির কাস্তেচরা সহ বহু জাতের পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে চারদিক।

স্থানীয় রফিক মিয়া বলেন, শীতে পাখিদের ঝাঁক দেখে মনে হয় আকাশও যেন নেমে এসেছে বিলে। এখানে যারা একবার আসে, বারবার ফিরে আসে।

বাইক্কা বিল এখন পর্যটকদের কাছে এক দারুণ গন্তব্য। বিলের পাশে তৈরি করা হয়েছে নজরদারি টাওয়ার, যেখানে উঠে পর্যটকরা দূরবীন দিয়ে পাখি ও প্রকৃতি দেখতে পারেন। পাশাপাশি, স্থানীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অব বাংলাদেশ, আইইউসিএনসহ বিভিন্ন সংস্থা।

তবে সবকিছুর মাঝেও চিন্তার কারণ রয়েছে। অতিরিক্ত ধানচাষ, কীটনাশক ব্যবহার, জলজ আগাছা, ও অপ্রয়োজনীয় মাছ ধরা জীববৈচিত্র্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। পর্যটকদের যথাযথ নিয়ম না মানার কারণেও মাঝে মাঝে পরিবেশে ক্ষতি হয়।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিবেশ কর্মকর্তা বলেন, বাইক্কা বিল শুধু শ্রীমঙ্গলের সম্পদ নয়, এটা জাতীয় ঐতিহ্য। একে বাঁচিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে।