বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় পুলিশের গুলিতে আহত কিশোর আরাফাত হুসাইন মারা গেছে।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিএমএইচ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আরাফাত।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাত হুসাইনের জানাজা হবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে গত ৫ আগষ্ট পুলিশের গুলিতে আহত হয় আরাফাত। পরদিন তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরাফাতের বাড়ি ঢাকার আজমপুরের পাকুরিয়া এলাকায়। সে উত্তরা জামিয়া রওজাতুল উলুম মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৫ আগষ্ট বিকালে আনন্দ মিছিলে গিয়েছিল আরাফাত। সেই সময় আজমপুরে থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন।
একটা গুলি তার পাঁজরের নিচ দিয়ে ঢুকে পিঠের দিকে বের হয়ে যায়। গুলিতে আরাফাতের ফুসফুস ছিদ্র হয়, মেরুদণ্ড গুড়া হয়ে যায়, পাকস্থলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকটি হাসপাতালে ঘুরে কুমির্টোলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকরা তাকে সিএমএইচে পাঠান। সেখানেই ভর্তি ছিল সে।
গুরুতর আহত আরাফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। এর মাঝেই পৃথিবী ত্যাগ করেন কিশোর আরাফাত।