মৌলভীবাজার ০৭:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলের বাইক্কাবিল: পাখির কলতানে মুখরিত অভ‌য়াশ্রম

বাইক্কাবিলে পরিযায়ী পাখিদের উড়ে বেড়ানো মনোমুগ্ধকর দৃশ্য

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের মাছের অভ‌য়াশ্রম বাইক্কাবিল এখন পাখির কলতানে মুখর। প্রতি বছরই পরিযায়ী পাখিরা শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে একটু উষ্ণতার জন্য এ বিলে ছুটে আসে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায় পাখির আগমন। আবার শীতের শেষে তারা ফিরে যায় আপন নীড়ে। এ বছর বাইক্কাবিলে ৩৮ প্রজাতির ৭,৮৭০টি জলচর পাখি এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে ৭৫০টি মেটেমাথা টিটি, ৬৩৯টি কাস্তেচরা, ১০০টি রঙিলা কাস্তেচরা এবং কালামাথা কাস্তেচরা।

গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর পাখির আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪,৬১৫ জলচর পাখি এসেছিল। আর ২০২৩ সালে এসেছিল ৪০ প্রজাতির ৬,১৪১ পাখি। এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাসের অধীনে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পরিচালনায় বাইক্কাবিলে টেলিস্কোপ দিয়ে পাখিগণনা করে গত শনিবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পাখিবিশেষজ্ঞ ড. পল থম্পসন।

জানা যায়, ২০০৩ সালে সরকার বাইক্কাবিলকে মৎস্য অভ‌য়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণ করে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পশু ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্ট স্টাডিজ (সিএনআরএস)-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় হাইল হাওরের বাইক্কাবিল পরিচালিত হচ্ছে। বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বড় গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন’। হাইল হাওরের ১২৫ একর চাপরা, মাগুরা, যাদুরিয়া বিল এবং বাইক্কা বিল মিলে প্রায় ৩০০ একর এলাকাজুড়ে পাখিদের কলতানে মুখরিত।

উল্লেখযোগ্য পাখিদের মধ্যে রয়েছে সাদা বক, খয়রা কাস্তেচড়া, বেগুনিকালেম, পাতিসরালি, পানকৌড়ি, ঈগল, ধূসর বক, তিলা লালপা, ছোট ডুবুরি, রাজ সরালি, সরালি, বালিহাঁস, পাতি তিলি হাঁস, মরচে রং ভুতি হাঁস, গিরিয়া হাঁস, পিয়ং হাঁস, গয়ার বা সাপপাখি, পাতিকুট, পাতি পানমুরগি, কানিবক, ডাহুক, বিল বাটান, গেওয়ালা বাটান, কালাপাখ ঠেঙি, লাল লতিকা টিটি, মেটেমাথা টিটি। সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় দেশি পাখিরাও।

পর্যটকদের জন্য সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এই টাওয়ারে বসে বাইনোকুলার ও টেলিস্কোপ দিয়ে হাওরের প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা যায়। নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় পর্যটকরা পাখিদের খুব কাছ থেকে দেখতে পান। এ ছাড়া পাখির পরিচিতি জানতে বিলে একটি ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার রয়েছে, যেখানে তথ্যকেন্দ্র, অ্যাকুরিয়াম ও ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

পাখিবিশেষজ্ঞ ড. পল থম্পসন বলেন, জলাভূমির সূচক অনুযায়ী শুধু জলচর পাখিকেই এ গণনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা নির্ভর করে জলস্তর, আগের মৌসুমের পরিস্থিতি এবং পরিযায়ন পথের ওপর। এই বিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা গড়ে ৫৯ শতাংশ। বিলের অভ‌য়ারণ্য, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সুরক্ষার ওপর পাখিদের সংখ্যা নির্ভর করে।

বাইক্কাবিল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী জানান, পাখিরা বিলের কচুরিপানা ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের ওপরেই বেশি থাকে। তবে বিলের কিছু অংশে শাপলা-পদ্ম টিকে থাকলেও জলজ উদ্ভিদ কমে গেছে। পর্যটকদের নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং মাছ শিকারিদের কারণে পাখিদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পাখি পর্যবেক্ষক ও ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজাম বলেন, এবার খয়রা কাস্তেচরা বেশি এসেছে এবং তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা গেছে। অন্য পাখিরাও এসেছে। তবে হাঁস প্রজাতির পাখি কিছুটা কম মনে হয়েছে।

সিএনআরএসের সাইড কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, এ বছর প্রচুর পাখি এসেছে। পাখিদের নিরাপত্তায় বিলে সার্বক্ষণিক পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। তবে বিলের আয়তনের তুলনায় এই সংখ্যা যথেষ্ট নয়।

বাইক্কাবিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণের উদ্যোগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এই বিল শুধু পাখিদের অভ‌য়ারণ্য নয়, এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। এর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।

বাইক্কাবিলে কিভাবে আসবেন

বাইক্কাবিল শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্তর্গত এবং সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার অংশ। ঢাকার কমলাপুর বা সিলেট থেকে সরাসরি শ্রীমঙ্গলগামী ট্রেন যেমন ‘পারাবত এক্সপ্রেস’ বা ‘জলপাই এক্সপ্রেস’ ব্যবহার করে সহজেই শ্রীমঙ্গলে পৌঁছানো যায়। শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন থেকে বাইক্কাবিল প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে বাইক্কাবিলে যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস বা মোটরসাইকেল ভাড়া করা যায়। বাইক্কাবিল যাওয়ার রাস্তাটি চা বাগানের মনোমুগ্ধকর সবুজ পরিবেশের মধ্য দিয়ে। রাস্তার পাশে রয়েছে ছোট ছোট গ্রাম এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য। বাইক্কাবিলের সন্নিকটে রয়েছে পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা ও গাইড পাওয়া যায়।

বাইক্কাবিলে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর বা স্থানীয় গাইডদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সুবিধাজনক। এটি নিশ্চিত করবে আপনার যাত্রা সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট।

বাইক্কাবিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণের উদ্যোগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এই বিল শুধু পাখিদের অভ‌য়ারণ্য নয়, এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। এর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।

জনপ্রিয় সংবাদ
x

শ্রীমঙ্গলের বাইক্কাবিল: পাখির কলতানে মুখরিত অভ‌য়াশ্রম

আপডেট সময় ০৮:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের মাছের অভ‌য়াশ্রম বাইক্কাবিল এখন পাখির কলতানে মুখর। প্রতি বছরই পরিযায়ী পাখিরা শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে একটু উষ্ণতার জন্য এ বিলে ছুটে আসে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পায় পাখির আগমন। আবার শীতের শেষে তারা ফিরে যায় আপন নীড়ে। এ বছর বাইক্কাবিলে ৩৮ প্রজাতির ৭,৮৭০টি জলচর পাখি এসেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে ৭৫০টি মেটেমাথা টিটি, ৬৩৯টি কাস্তেচরা, ১০০টি রঙিলা কাস্তেচরা এবং কালামাথা কাস্তেচরা।

গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর পাখির আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালে ৩৩ প্রজাতির ৪,৬১৫ জলচর পাখি এসেছিল। আর ২০২৩ সালে এসেছিল ৪০ প্রজাতির ৬,১৪১ পাখি। এশিয়ান ওয়াটার বার্ড সেনসাসের অধীনে বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পরিচালনায় বাইক্কাবিলে টেলিস্কোপ দিয়ে পাখিগণনা করে গত শনিবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পাখিবিশেষজ্ঞ ড. পল থম্পসন।

জানা যায়, ২০০৩ সালে সরকার বাইক্কাবিলকে মৎস্য অভ‌য়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণ করে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, পশু ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্ট স্টাডিজ (সিএনআরএস)-এর যৌথ ব্যবস্থাপনায় হাইল হাওরের বাইক্কাবিল পরিচালিত হচ্ছে। বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করছে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বড় গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন’। হাইল হাওরের ১২৫ একর চাপরা, মাগুরা, যাদুরিয়া বিল এবং বাইক্কা বিল মিলে প্রায় ৩০০ একর এলাকাজুড়ে পাখিদের কলতানে মুখরিত।

উল্লেখযোগ্য পাখিদের মধ্যে রয়েছে সাদা বক, খয়রা কাস্তেচড়া, বেগুনিকালেম, পাতিসরালি, পানকৌড়ি, ঈগল, ধূসর বক, তিলা লালপা, ছোট ডুবুরি, রাজ সরালি, সরালি, বালিহাঁস, পাতি তিলি হাঁস, মরচে রং ভুতি হাঁস, গিরিয়া হাঁস, পিয়ং হাঁস, গয়ার বা সাপপাখি, পাতিকুট, পাতি পানমুরগি, কানিবক, ডাহুক, বিল বাটান, গেওয়ালা বাটান, কালাপাখ ঠেঙি, লাল লতিকা টিটি, মেটেমাথা টিটি। সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় দেশি পাখিরাও।

পর্যটকদের জন্য সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এই টাওয়ারে বসে বাইনোকুলার ও টেলিস্কোপ দিয়ে হাওরের প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা যায়। নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় পর্যটকরা পাখিদের খুব কাছ থেকে দেখতে পান। এ ছাড়া পাখির পরিচিতি জানতে বিলে একটি ইন্টারপ্রিটেশন সেন্টার রয়েছে, যেখানে তথ্যকেন্দ্র, অ্যাকুরিয়াম ও ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

পাখিবিশেষজ্ঞ ড. পল থম্পসন বলেন, জলাভূমির সূচক অনুযায়ী শুধু জলচর পাখিকেই এ গণনার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরিযায়ী পাখির সংখ্যা নির্ভর করে জলস্তর, আগের মৌসুমের পরিস্থিতি এবং পরিযায়ন পথের ওপর। এই বিলে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা গড়ে ৫৯ শতাংশ। বিলের অভ‌য়ারণ্য, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও সুরক্ষার ওপর পাখিদের সংখ্যা নির্ভর করে।

বাইক্কাবিল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা স্থানীয় বড়গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মিন্নত আলী জানান, পাখিরা বিলের কচুরিপানা ও বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের ওপরেই বেশি থাকে। তবে বিলের কিছু অংশে শাপলা-পদ্ম টিকে থাকলেও জলজ উদ্ভিদ কমে গেছে। পর্যটকদের নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো এবং মাছ শিকারিদের কারণে পাখিদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পাখি পর্যবেক্ষক ও ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাউজাম বলেন, এবার খয়রা কাস্তেচরা বেশি এসেছে এবং তাদের ঝাঁকে ঝাঁকে দেখা গেছে। অন্য পাখিরাও এসেছে। তবে হাঁস প্রজাতির পাখি কিছুটা কম মনে হয়েছে।

সিএনআরএসের সাইড কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, এ বছর প্রচুর পাখি এসেছে। পাখিদের নিরাপত্তায় বিলে সার্বক্ষণিক পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। তবে বিলের আয়তনের তুলনায় এই সংখ্যা যথেষ্ট নয়।

বাইক্কাবিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণের উদ্যোগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এই বিল শুধু পাখিদের অভ‌য়ারণ্য নয়, এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। এর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।

বাইক্কাবিলে কিভাবে আসবেন

বাইক্কাবিল শ্রীমঙ্গল উপজেলার অন্তর্গত এবং সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার অংশ। ঢাকার কমলাপুর বা সিলেট থেকে সরাসরি শ্রীমঙ্গলগামী ট্রেন যেমন ‘পারাবত এক্সপ্রেস’ বা ‘জলপাই এক্সপ্রেস’ ব্যবহার করে সহজেই শ্রীমঙ্গলে পৌঁছানো যায়। শ্রীমঙ্গল রেল স্টেশন থেকে বাইক্কাবিল প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে।

শ্রীমঙ্গল শহর থেকে বাইক্কাবিলে যাওয়ার জন্য সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস বা মোটরসাইকেল ভাড়া করা যায়। বাইক্কাবিল যাওয়ার রাস্তাটি চা বাগানের মনোমুগ্ধকর সবুজ পরিবেশের মধ্য দিয়ে। রাস্তার পাশে রয়েছে ছোট ছোট গ্রাম এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য। বাইক্কাবিলের সন্নিকটে রয়েছে পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত নৌকা ভ্রমণের ব্যবস্থা। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট রাস্তা ও গাইড পাওয়া যায়।

বাইক্কাবিলে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর বা স্থানীয় গাইডদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সুবিধাজনক। এটি নিশ্চিত করবে আপনার যাত্রা সহজ ও নির্ঝঞ্ঝাট।

বাইক্কাবিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনগণের উদ্যোগ আরও জোরদার করা প্রয়োজন। এই বিল শুধু পাখিদের অভ‌য়ারণ্য নয়, এটি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটনকেন্দ্র। এর টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা গেলে এটি আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।