মৌলভীবাজার ০৫:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজ
Logo আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল; মৌলভীবাজারের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান Logo পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচার পালিয়ে গিয়ে ফিরে আসেনি – ময়ূন Logo শ্রীমঙ্গলকে চাঁদাবাজমুক্ত সম্প্রীতি’র শহর বজায় রাখা হবে, মহসিন মিয়া Logo শীতবস্ত্রের অভাবে কেউ কষ্ট পাবে না; মহসিন মিয়া Logo সাংবাদিক হত্যায় পুলিশের সাবেক এডিসি দস্তগীর গ্রেফতার Logo ১৭ বছর পর মৌলভীবাজারে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন; নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবের আমেজ Logo গত ১৫ বছরে সাংবাদিকতার অপমৃত্যু হয়েছিল; আব্দুর রব ভুট্টো Logo কর্মী সম্মেলন সামনে রেখে শ্রীমঙ্গলে জামায়াতের গণসংযোগ Logo শ্রীমঙ্গলে শীতার্তদের মাঝে ৬০০ কম্বল বিতরণ Logo শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল, ভারত যেভাবে নাচায় শেখ হাসিনা সেভাবে নাচে; এম নাসের রহমান

শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল, ভারত যেভাবে নাচায় শেখ হাসিনা সেভাবে নাচে; এম নাসের রহমান

মৌলভীবাজারে বিএনপির কর্মী সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন সাবেক এমপি নাসের রহমান।

শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল, ভারত যেভাবে নাচায় শেখ হাসিনা সেভাবে নাচে, শেখ হাসিনা একবার নয়, বহুবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের দল ছিল না, আওয়ামী লীগ ছিল পুলিশের দল, প্রশাসনের দল আর আদালতের দল

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতা নন। শেখ হাসিনাকে ভারত তৈরি করেছিল তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য। এবং শেখ হাসিনা ভারতের নির্দেশনায় যা যা দরকার ছিল সব দিয়েছেন। দিয়ে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, “আমি যা ভারতকে দিয়েছি ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না।” এটা কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের বক্তব্য হতে পারে না। আবার তিনি গর্ব করে বলতেন, তার পিয়নে ৪০০ কোটি টাকা বানিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে। এতে করে শেখ হাসিনা আমাদের দেশের রাজনীতি যে কোথায় নিয়ে গেছেন!

তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এজেন্ডা নিয়ে আসছিল। ভারত তাকে বলে দিয়েছে তোমার প্রথম কাজ হলো- বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করা। সে এটা করেছে। এর সঙ্গে দেশের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করার কথাও বলে। সেটাও করেছে। কারণ তার ভয় ছিল তত্ত্বাবধায়ক থাকলে তো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এবং ভারত তাকে এও বলে দিয়েছে, তুমি যদি ক্ষমতায় থাকতে চাও তাহলে আগে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। অথচ এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আনার জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ১৬৪ দিন হরতাল আর অবরোধ করেছে। ওই সময় এই হরতাল-অবরোধ করে দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে। শুধু তার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। যে মহিলা ১৬৪ দিন হরতাল-অবরোধ করেছে, সেই মহিলাই আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এটা কি কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের আচরণ হতে পারে? এদেরকেই দেশের মানুষ কুলাঙ্গার বলে ডাকে। এরা দেশের ভালো করার জন্য রাজনীতিতে আসেনি।

নাসের রহমান আরও বলেন, শেখ হাসিনা কি দেশ ছেড়ে একবার পালিয়েছেন? না, তিনি বহুবার পালিয়েছেন। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে যেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, সেদিন আখাউড়া বর্ডার দিয়ে বোরকা পরে তিনি ভারতে পালিয়েছিলেন। এরপর ওয়ান-ইলেভেনেও দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়েছিলেন। তিনি আবার দম্ভ করে বলতেন, শেখ হাসিনা কখনো পালায় নাই, শেখ হাসিনা কখনো পালায় না। তাহলে ৫ আগস্ট কে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল? সেদিন খুনি এই হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সাড়ে ১৫ বছর রাম রাজত্ব করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন? তিনি বলেন, এ দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য হিটলারের প্রেতাত্মা আওয়ামী লীগারদের মাঝে জন্মেছে। আর আওয়ামী লীগকে তার বাবাই কবর রচনা করে দিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে।

আর শেখ হাসিনার অধীনে আওয়ামী লীগ আসার পর গুম, খুন, গণহত্যা চালিয়ে তাদের রাজনীতি করার সমস্ত অধিকার হারিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে দ্বিতীয়বার পুনর্জন্ম দিয়েছিলেন। আজ তারা বলে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান নয়। তাহলে কে দিয়েছিল? তার বাবা দিয়েছিল? কীভাবে দিয়েছিল বিডিআরের তারবার্তা দিয়ে? ওয়্যারলেস দিয়ে। তো ওয়্যারলেস টু ওয়্যারলেস। দুইটা ওয়্যারলেস দিয়ে যদি কথা হয় তাহলে সারা দেশের মানুষ স্বাধীনতার ঘোষণা জানল কিভাবে? ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বারবার স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

নাসের রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মারা গেছেন নাম বলতে পারবেন? এরা বলত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল? এদের দলে কি একজন বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক আছে? একজনও নেই। তাহলে কীভাবে বলে আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল। আর আমাদের দলে ৬ জন বীর প্রতীক, বীর উত্তম, বীর বিক্রম আছেন। আর আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি নিজেই বীর উত্তম ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন।

নাসের রহমান বলেন, এই হাসিনা ভারতের পুতুল। তাকে ভারত যেভাবে নাচায় সেভাবেই নাচে। ভারতের দালালকে দেশবাসী এখন ঠিকই বুঝে গেছে। সে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বলে, ৫ আগস্ট না কি দেশে আরও হানাহানি হতো, সে জন্য তিনি না কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কত বড় মিথ্যাচার! মিথ্যাবাদী। সে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য শেষ সময় পর্যন্ত নির্বিচারে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু সেদিন তার নির্দেশনা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী পালন করেনি।

নাসের রহমান আরও বলেন, আগামী ২০২৫ সাল বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যে দলটি গণহত্যাকারী হিসেবে দেশবাসী চিহ্নিত করেছে, এদের কিছুই থাকবে না। এ গণহত্যাকারী দলটি দীর্ঘ দিন দেশের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল। নাসের রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের দল ছিল না। আওয়ামী লীগ ছিল পুলিশের দল, প্রশাসনের দল আর আদালতের দল। এ তিনটি পেলে তাদের জনগণের দরকার নেই। এবং এই তিনটির মাধ্যমেই সাড়ে ১৫টা বছর দেশে রাম রাজত্ব করে গেছে। শুধু রাম রাজত্ব নয়, দেশকে লুটেপুটে খেয়ে গেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পৌরসভা প্রাঙ্গণে আয়োজিত মৌলভীবাজার উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী বিএনপি নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোশাররফ হোসেন বাদশা, এম এ মুকিত, আশিক মোশাররফ, মোহাম্মদ হেলু মিয়া, ফখরুল ইসলাম, বকসী মিছবাউর রহমান, মতিন বকস, আব্দুর রহিম রিপন, মনোয়ার আহমেদ রহমান, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, আবুল কালাম বেলাল, আনিসুজ্জামান বায়েস, যুক্তরাজ্যস্থ জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি শাহ সাইফুল আখতার লিখন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারফ আহমেদ, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সরওয়ার মজুমদার ইমন প্রমুখ।

এদিকে কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১২টা থেকেই শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী জিয়া পরিবারের নামে স্লোগান, টুপি, ব্যানার নিয়ে কর্মী সমাবেশে মিছিল সহকারে যোগ দেন। মূলত কর্মী সমাবেশটি জনসমাবেশে রূপান্তরিত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খুনের রাজনীতি শুরু করেছিল; মৌলভীবাজারের কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান

x

শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল, ভারত যেভাবে নাচায় শেখ হাসিনা সেভাবে নাচে; এম নাসের রহমান

আপডেট সময় ১১:৫৪:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা ভারতের পুতুল, ভারত যেভাবে নাচায় শেখ হাসিনা সেভাবে নাচে, শেখ হাসিনা একবার নয়, বহুবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের দল ছিল না, আওয়ামী লীগ ছিল পুলিশের দল, প্রশাসনের দল আর আদালতের দল

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক এমপি এম নাসের রহমান বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক নেতা নন। শেখ হাসিনাকে ভারত তৈরি করেছিল তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য। এবং শেখ হাসিনা ভারতের নির্দেশনায় যা যা দরকার ছিল সব দিয়েছেন। দিয়ে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন, “আমি যা ভারতকে দিয়েছি ভারত কখনোই ভুলতে পারবে না।” এটা কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের বক্তব্য হতে পারে না। আবার তিনি গর্ব করে বলতেন, তার পিয়নে ৪০০ কোটি টাকা বানিয়ে হেলিকপ্টার চড়ে। এতে করে শেখ হাসিনা আমাদের দেশের রাজনীতি যে কোথায় নিয়ে গেছেন!

তিনি বলেন, এই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এজেন্ডা নিয়ে আসছিল। ভারত তাকে বলে দিয়েছে তোমার প্রথম কাজ হলো- বেগম খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করা। সে এটা করেছে। এর সঙ্গে দেশের তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করার কথাও বলে। সেটাও করেছে। কারণ তার ভয় ছিল তত্ত্বাবধায়ক থাকলে তো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এবং ভারত তাকে এও বলে দিয়েছে, তুমি যদি ক্ষমতায় থাকতে চাও তাহলে আগে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করতে হবে। অথচ এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা আনার জন্য ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে ১৬৪ দিন হরতাল আর অবরোধ করেছে। ওই সময় এই হরতাল-অবরোধ করে দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি করেছে। শুধু তার ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। যে মহিলা ১৬৪ দিন হরতাল-অবরোধ করেছে, সেই মহিলাই আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। এটা কি কোনো দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদের আচরণ হতে পারে? এদেরকেই দেশের মানুষ কুলাঙ্গার বলে ডাকে। এরা দেশের ভালো করার জন্য রাজনীতিতে আসেনি।

নাসের রহমান আরও বলেন, শেখ হাসিনা কি দেশ ছেড়ে একবার পালিয়েছেন? না, তিনি বহুবার পালিয়েছেন। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে যেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রামে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, সেদিন আখাউড়া বর্ডার দিয়ে বোরকা পরে তিনি ভারতে পালিয়েছিলেন। এরপর ওয়ান-ইলেভেনেও দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়েছিলেন। তিনি আবার দম্ভ করে বলতেন, শেখ হাসিনা কখনো পালায় নাই, শেখ হাসিনা কখনো পালায় না। তাহলে ৫ আগস্ট কে দেশ ছেড়ে পালিয়েছিল? সেদিন খুনি এই হাসিনা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সাড়ে ১৫ বছর রাম রাজত্ব করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেন? তিনি বলেন, এ দেশটাকে ধ্বংস করার জন্য হিটলারের প্রেতাত্মা আওয়ামী লীগারদের মাঝে জন্মেছে। আর আওয়ামী লীগকে তার বাবাই কবর রচনা করে দিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে।

আর শেখ হাসিনার অধীনে আওয়ামী লীগ আসার পর গুম, খুন, গণহত্যা চালিয়ে তাদের রাজনীতি করার সমস্ত অধিকার হারিয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে দ্বিতীয়বার পুনর্জন্ম দিয়েছিলেন। আজ তারা বলে স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান নয়। তাহলে কে দিয়েছিল? তার বাবা দিয়েছিল? কীভাবে দিয়েছিল বিডিআরের তারবার্তা দিয়ে? ওয়্যারলেস দিয়ে। তো ওয়্যারলেস টু ওয়্যারলেস। দুইটা ওয়্যারলেস দিয়ে যদি কথা হয় তাহলে সারা দেশের মানুষ স্বাধীনতার ঘোষণা জানল কিভাবে? ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বারবার স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

নাসের রহমান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা মারা গেছেন নাম বলতে পারবেন? এরা বলত মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল? এদের দলে কি একজন বীর উত্তম, বীর বিক্রম, বীর প্রতীক আছে? একজনও নেই। তাহলে কীভাবে বলে আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দল। আর আমাদের দলে ৬ জন বীর প্রতীক, বীর উত্তম, বীর বিক্রম আছেন। আর আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি নিজেই বীর উত্তম ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন।

নাসের রহমান বলেন, এই হাসিনা ভারতের পুতুল। তাকে ভারত যেভাবে নাচায় সেভাবেই নাচে। ভারতের দালালকে দেশবাসী এখন ঠিকই বুঝে গেছে। সে ভারতে পালিয়ে গিয়ে বলে, ৫ আগস্ট না কি দেশে আরও হানাহানি হতো, সে জন্য তিনি না কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কত বড় মিথ্যাচার! মিথ্যাবাদী। সে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য শেষ সময় পর্যন্ত নির্বিচারে মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছিল। কিন্তু সেদিন তার নির্দেশনা দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী পালন করেনি।

নাসের রহমান আরও বলেন, আগামী ২০২৫ সাল বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হবে। যেখানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যে দলটি গণহত্যাকারী হিসেবে দেশবাসী চিহ্নিত করেছে, এদের কিছুই থাকবে না। এ গণহত্যাকারী দলটি দীর্ঘ দিন দেশের মানুষের ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছিল। নাসের রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো জনগণের দল ছিল না। আওয়ামী লীগ ছিল পুলিশের দল, প্রশাসনের দল আর আদালতের দল। এ তিনটি পেলে তাদের জনগণের দরকার নেই। এবং এই তিনটির মাধ্যমেই সাড়ে ১৫টা বছর দেশে রাম রাজত্ব করে গেছে। শুধু রাম রাজত্ব নয়, দেশকে লুটেপুটে খেয়ে গেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার পৌরসভা প্রাঙ্গণে আয়োজিত মৌলভীবাজার উপজেলা ও পৌর বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রবাসী বিএনপি নেতা, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফয়সল আহমেদ চৌধুরী। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুক, মোশাররফ হোসেন বাদশা, এম এ মুকিত, আশিক মোশাররফ, মোহাম্মদ হেলু মিয়া, ফখরুল ইসলাম, বকসী মিছবাউর রহমান, মতিন বকস, আব্দুর রহিম রিপন, মনোয়ার আহমেদ রহমান, স্বাগত কিশোর দাশ চৌধুরী, আবুল কালাম বেলাল, আনিসুজ্জামান বায়েস, যুক্তরাজ্যস্থ জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি শাহ সাইফুল আখতার লিখন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারফ আহমেদ, পৌর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব সরওয়ার মজুমদার ইমন প্রমুখ।

এদিকে কর্মী সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর ১২টা থেকেই শহরে ও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিএনপির শত শত নেতাকর্মী জিয়া পরিবারের নামে স্লোগান, টুপি, ব্যানার নিয়ে কর্মী সমাবেশে মিছিল সহকারে যোগ দেন। মূলত কর্মী সমাবেশটি জনসমাবেশে রূপান্তরিত হয়।